রাসেল হোসেন, ধামরাই: ঢাকার ধামরাইয়ে ৪র্থ শ্রেণী পড়ুয়া এক কিশোরীকে স্ত্রীর সহায়তায় ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে । এই ঘটনায় ধর্ষণের শিকার অন্তঃসত্ত্বা ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে ধামরাই থানায় ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫/৬ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
অভিযুক্ত স্ত্রী উজালা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাতে ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে ধামরাই থানায় মামলা দায়ের করলে রাতেই অভিযান চালিয়ে পুলিশ ধামরাই’র মুন্সীচর এলাকা থেকে উজালা বেগমকে গ্রেপ্তার করে।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গ্রেপ্তার উজালা বেগম গত ৩০ জুলাই রাতে তাদের পাশের বাড়ির ৪র্থ শ্রেণী পড়ুয়া ওই কিশোরীকে টেলিভিশন দেখার কথা বলে কৌশলে নিজ বাড়িতে ডেকে আনেন। পরে সেখানে স্ত্রী উজালা বেগমের সহায়তায় তার স্বামী মোকছেদ মিয়া ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন এবং বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য ভয়-ভীতি দেখায়। সম্প্রতি ওই কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের সদস্যদের কাছে সে ধর্ষণের বিষয়টি জানায়।
ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে জানিয়ে পুলিশ বলছে- এই ঘটনা স্থানীয়ভাবে মিমাংসা ও ভয়-ভীতি দেখানোর অভিযোগে আমতা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ফারুক হোসেনসহ ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞানামা আরও ৫/৬ জনকে আসামী করে কিশোরীর বাবা মামলা দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা জানান, এ ঘটনায় ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে ইউপি মেম্বারসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ দায়ের করলে আমরা সেটি মামলা হিসেবে গ্রহন করি।গতকাল রাতেই ধর্ষণের প্রধান সহযোগি উজালা বেগমকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে মেয়েটিকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কিশোরীকে সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।