ইফতেখার শাহীন, বরগুনা প্রতিনিধি: বরগুনা শহরের কনফিডেন্স কিন্ডারগার্টেন এন্ড হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র বায়েজিদ হোসেন ইমরানকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার বেলা ১১টায় বরগুনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নিহত ইমরানের বাবা-মাসহ নিকট আত্মীয়রা এ দাবি জানান।
এ সময় ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে বিচার দাবি করেন। নিহত ইমরান বরগুনা শহরের ক্রোক এলাকার মো: খলিলুর রহমানের ছেলে।
গত ২৭ অক্টোবর ভোরে বরগুনার ক্রোক এলাকার একটি মসজিদের সাথে গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় ইমরানের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওইদিন বরগুনা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে নিহতের বাবা খলিলুর রহমান বলেন, ইমরানকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে মরদেহ ঘটনাস্থলে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। ঘটনার ৫দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশের কোনো তৎপরতা নেই, দৃশ্যমান কোনো তদন্ত কার্যক্রম দেখা যায়নি। তিনি বলেন, ঘটনার পরে আমরা জানতে পারি, আমার ছেলের সাথে একই এলাকার আসলাম নামের এক স্কুল শিক্ষকের (৭ম শ্রেণির ছাত্রী) মেয়ের সাথে সম্পর্ক ছিল। আসলাম ও তার স্ত্রী আমার ছেলেকে বাসায় ডেকে একাধিকবার মারধর করে এবং পেট্রোল দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়ার হুমকী দেয়। এসব ঘটনা আমরা কিছুই জানতাম না। ইমরানের রহস্যজনক মৃত্যুর পরে আসলামের প্রতিবেশী ও আমার ছেলের সহপাঠি বন্ধুরা এসব তথ্য আমাদের জানিয়েছে। আমরা সব তথ্যই পুুলিশকে জানিয়েছি। কিন্ত ঘটনার ৫দিন অতিবাহিত হলে পুলিশের তেমন কোনো তৎপরতা দেখতে পাইনি। এমনকি কাউকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়নি। আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে এতে আমাদের কোনো সন্দেহ নেই। ইমরানের মা-বাবা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে ইমরানের বাবা খলিলুর রহমান ছাড়াও মা সুখি বেগমসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে বরগুনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবির মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ঘটনার পর সুরাতহাল রিপোর্ট ও নিহতের বাবার লিখিত মতে অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এ ব্যাপারে পুলিশ তৎপর আছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এবং তদন্ত সাপেক্ষে এ ঘটনায় কারো সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।