বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ অন্তরঙ্গ মুহূর্তের কিছু ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাইবার ক্রাইম বিভাগে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) অভিনেত্রী মিথিলা এই অভিযোগ দেন।
ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) নাজমুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
একই দিন মঙ্গলবার এডিসি নাজমুল ইসলাম তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন।
যেখানে তিনি লিখেছিলেন, ‘দুজন মানুষের একান্ত ব্যক্তিগত ছবি ভাইরাল করা তাদের স্বাধীনতাকে অবজ্ঞা করা এবং এটা আইনের ব্যত্যয়ও বটে, যা একান্ত ঘৃণাবোধকেই উসকে দেবে এবং এটা জাতি হিসেবে আমাদের অবস্থান উন্নত বলে প্রমাণ করে না। সম্মানিত নেটিজেনদের আহ্বান জানাব, এটাকে নিয়ে না ঘাটাতে এবং অন্যের ইস্যু নিয়ে কনসার্ন্ড না হয়ে নিজের পরিবারকে সময় দিন। যারা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এই ঘৃণ্য কাজ করছেন আদতে তারা আইনের লঙ্ঘন করছেন।’
এ বিষয়ে মিথিলার পক্ষে একজন সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের একজন কর্মকর্তা ।
উল্লেখ্য, সোমবার রাতে ফেসবুকের একটি গ্রুপ থেকে নির্মাতা ও পরিচালক ইফতেখার আহমেদ ফাহমির সঙ্গে মিথিলার অন্তরঙ্গ ছবি পোস্ট করা হয়। এরপর রাতেই ছবিটি ভাইরাল হয়ে পড়ে।
সকালে এ দুই শোবিজ তারকার একাধিক অন্তরঙ্গ ছবি বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট হতে থাকে। ছবিগুলো নিয়ে দিনভর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা চলতে থাকে। বিষয়টি নিয়ে বিনোদন অঙ্গনকে নাড়া দেয়। এ নিয়ে শোবিজের অনেক তারকাই তাদের মত ব্যক্ত করেছেন। অনেকে চুপ থাকলেও ব্যাপারটিতে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
যদিও এখন পর্যন্ত এসব ছবির বিষয়ে ইফতেখার আহমেদ ফাহমি ও মিথিলার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে বিভিন্ন শো ও সাক্ষাৎকারে ইফতেখারকে নিজের ভালো বন্ধু ও শুভাকাঙ্খি বলেই পরিচয় দিয়েছেন মিথিলা।
প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালের ৩ আগস্ট কণ্ঠশিল্পী ও অভিনেতা তাহসানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মিথিলা। এই দম্পতির একমাত্র সন্তান আইরা। পরে দুজনের বনিবনা না হওয়ায় ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে।
বেশ কিছুদিন আগে কলকাতার পরিচালক সৃজিত মুখার্জির সঙ্গে মিথিলার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে বলে গুঞ্জন ওঠে। তাদের দুজনকে একাধিকবার বিভিন্ন স্থানে দেখা যায়। এ নিয়ে বাংলাদেশেসহ কলকাতার গণমাধ্যমগুলোতেও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। যদিও বিষয়টি নিছক গুজব বলে উড়িয়ে দেন মিথিলা।