ইফতেখার শাহীন : বরগুনাসহ সাতটি উপকূলীয় জেলার জন্য ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারী করার পরে মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে শুরু করেছে।
বরগুনা জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ জানিয়েছেন, বরগুনায় ৩৪১টি সাইক্লোন শেল্টারসহ ৫০৯টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। যেখানে ৫ লক্ষাধিক লোক আশ্রয় নিতে পারবে। যারা আশ্রয় কেন্দ্রে যাচ্ছে, তাদের জন্য দুপুরে খাবারের জন্য চলছে খিচুড়ি রান্না।
জেলা প্রশাসক আরও জানিয়েছেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় ইতোমধ্যেই মন্ত্রণালয় থেকে ১০ লাখ টাকা, গবাদি পশুর খাদ্যের জন্য ১ লাখ টাকা, শিশুখাদ্যের জন্য ১ লাখ টাকা, ২০০ মেট্রিক টন চাল ও ৩৫০ প্যাকেট খাবার পেয়েছেন। তারা আরও ২ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার মজুদ রেখেছেন।
ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির উপজেলা টিম লিডার জাকির হোসেন মিরাজ জানিয়েছেন, জেলায় ৬ হাজার ৩৩০ জন স্বেচ্ছাসেবক মাঠে রয়েছেন। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা স্বপন কুমার ব্রহ্ম জানিয়েছেন, জেলার ৩৭ কিলোমিটার বেড়িবাধ ঝূঁকিপূর্ন অবস্থায় রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএর পোর্ট অফিসার মামুনুর রশিদ জানিয়েছেন, বরগুনা থেকে সকল রুটের নৌচলাচল বন্ধ রয়েছে। বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যাওয়া বেশীর ভাগ ট্রলারই পাথরঘাটা মৎস্য বন্দরে ফিরে এসেছে। বঙ্গোপসাগরে যারা ছিলো, তারাও ট্রলার নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে এসেছে।