ইফতেখার শাহীন: শনিবার মধ্যরাত থেকে বরগুনায় শুরু হয় বুলবুলের তাণ্ডব। টানা ঝোড়ো হাওয়ার পাশাপাশি ভারী বর্ষণে জেলার বিভিন্ন স্থানের অর্ধশতাধিক ঘর-বাড়ি ধ্বসে গেছে।
শনিবার রাত ২টার দিকে হালকা বাতাসের সাথে ভারী বর্ষণ শুরু হয়। রাত ৩টার দিকে ঝড় ও বর্ষণ থেমে যায়। ফের রাত সোয়া ৪টার দিকে থেমে থেমে ভারী বর্ষণ শুরু হয়। রোববার সকাল নয়টা থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সঙ্গে দমকা বাতাস বইতে শুরু করে। ঝড়ের তাণ্ডবে অসংখ্য গাছপালা ভেঙে গেছে। পাশাপাশি রোপা আমন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। নিম্নাঞ্চলের রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে গেছে। এছাড়াও বিষখালী বলেশ্বর ও পায়রা নদীর অন্তত ১০ পয়েন্টের বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করার খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে বরগুনার একটি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া হালিমা খাতুন নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে তার মৃত্যু হয়। হালিমা খাতুন সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের ডিএল কলেজ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনিচুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হালিমা খাতুন নামের ওই নারী অসুস্থ্যতার কারনে মারা গেছেন।
বরগুনা জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ জানান, পাঁচ শতাধিক আশ্রয় কেন্দ্রে লক্ষাধিক মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে। তাদের খাবার ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।