বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দবাগ রেলস্টেশনে মঙ্গলবার ভোররাতে আন্তনগর তুর্ণা নিশীথা ও আন্তনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তুর্ণা সিগনাল অমান্য করায় এ দুর্ঘটনা বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জনের মৃত্যু ঘটেছে। এ ঘটনায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন দুই ট্রেনের শতাধিক যাত্রী। তবে এখনও পর্যন্ত হতাহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
জানা গেছে, সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস লুপ লাইন দিয়ে মন্দবাগ স্টেশনে প্রবেশ করছিল রাত দুইটা ৪৩ মিনিটে। ওই সময় ঢাকাগামী চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা তুর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেস মন্দবাগ স্টেশনের মূল লাইনে দাঁড়ানোর কথা। তুর্ণা ট্রেনটি স্টেশনে না দাঁড়িয়ে স্বাভাবিক গতিতে চলতে থাকে। উদয়ন এক্সপ্রেস লুপ লাইনে ঢোকার মুখে তুর্ণা এক্সপ্রেসে ধাক্কা দেয়। উদয়ন এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনের দিক থেকে ৭, ৮ ও ৯ নম্বর বগি তুর্ণা ট্রেনের ইঞ্জিনের ধাক্কায় চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়। দুর্ঘটনার পর ভোর ছয়টার দিকে উদয়ন এক্সপ্রেস ক্ষতিগ্রস্ত তিনটি কোচ ও এর পেছনের তিনটি কোচ রেখে দিয়ে ছয়টি কোচ নিয়ে সিলেটে রওনা দিয়েছে। তুর্না এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন বিকল হয়ে গেছে।
ব্রাহ্মণাবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান ও পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে। উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছে দুটি রিলিফ ট্রেন।
এদিকে দুর্ঘটনার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং চট্টগ্রাম-সিলেটের সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। খুব দ্রুতই রেল যোগাযোগ শুরু হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।