বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ নতুন সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ রোববার থেকে কার্যকর শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘নতুন আইন বাস্তবায়ন করা হবে। কিছুদিন শিথিল করেছিলাম সচেতনতা বাড়াতে। দু’সপ্তাহ সময় দিয়েছিলাম, সেটা শেষ হয়েছে। তাই আজ রোববার থেকে নতুন সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ কার্যকর শুরু হয়েছে।’
ওবায়দুল কাদের রোববার দুপুরে রাজধানীর বসুন্ধরা আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশের (এআইইউবি) স্থায়ী ক্যাম্পাস অডিটোরিয়ামে সড়ক নিরাপত্তা ও সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ বিষয়ক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, ‘দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। পিছনে ফেরার আর কোন সুযোগ নেই। এতে যত ধরনের বাধাই আসুক না কেন, আমি এটিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে এগিয়ে যাবো। গর্জন আর তরঙ্গের অপর নাম হল চ্যালেঞ্জ। নতুন সড়ক আইনে বেশি জরিমানা মানে বেশি অর্থ নেওয়া নয়। বেশি জরিমানা দিলে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।’
সড়কে শৃঙ্খলার ফিরে আনার জন্য সচেতনতা বাড়াতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, শাস্তির ভয় দেখাই যাদের গাড়ি চালকরা নিরোৎসাহিত হয়। গুরুতর আইন করা হয়েছে। আজ থেকে আইন মেনে চলার জন্য সকলকে অনুরোধ করছি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রয়োজন হলে আইন সংশোধন করা হবে। আস্তে আস্তে আইন প্রয়োগ করা হবে। ইচেছ করলে জনগনের চাহিদার বাহিরে যেতে পারিনা। রাজধানীতে কিছু গাড়ি আছে, তারা সিটিং (সার্ভিস) লিখে রাখে। আসলে তারা সিটিং না, চিটিং সার্ভিস। নতুন আইন বাস্তবায়ন করা হবে। কিছুদিন শিথিল করেছিলাম সচেতনতা বাড়াতে। দু’সপ্তাহ সময় দিয়েছিলাম, সেটা শেষ হয়েছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, রোড সেক্টর খুব চ্যালেঞ্জিং। আমরা সড়ক যোগাযোগ ক্ষেত্রে ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন করেছি। প্রধানমন্ত্রীর ডায়নামিক নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
পদ্মাসেতু থেকে বিশ্বব্যাংক সরে যাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী বললেন, বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু হবে। এখন আমাদের দেশের সেই পদ্মাসেতু এখন দাঁড়িয়ে গেছে। দৃশ্যমান হয়েছে। বর্তমানে পদ্মা সেতুর সার্বিক অগ্রগতি হচেছ ৭৪ ভাগ। ২০২১ সালে পদ্মাসেতু ড্রাবল ডেকার সেতুর (দুয়েল) লাইন চালু করা হবে।
তিনি বলেন, অবকাঠামোগত উন্নয়নের কমতি নেই। কিন্তু, আমাদের সংকট হচ্ছে সড়কে শৃঙ্খলা। এই শৃঙ্খলা ফেরাতে সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়নে যাচ্ছি। আমাদের সমস্যা হচ্ছে, কোথাও দুর্ঘটনা ঘটলে স্থানীয় জনগণ রাস্তায় নেমে আসে। তখন তারা সড়কে রোড স্পীরিট বেকারের দাবী জানায়। নসিমন-করিমন ২২টি রুটে এগুলো নিষিদ্ব করেছি।