জাহিদুল হক চন্দন, মানিকগঞ্জ: ঢাকাসহ অন্যান্য শহরে প্রতি কেজি লবন বিক্রি হচ্ছে দুইশো থেকে আড়াইশো টাকায়। এমন গুজবে লবন ক্রয়ের হিড়িক পড়েছে মানিকগঞ্জ শহরের দুধবাজারসহ আশেপাশের বাজারগুলোতে। অনেক দোকানে লবন না পেয়ে দিকবিদিক দৌড়াচ্ছে ক্রেতারা।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে সরেজমিনে শহরের দুধবাজার এলাকা ঘুরে এমন তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায়। নির্ধারিত দামের চেয়ে অতিরিক্ত দামে লবন বিক্রি হচ্ছে বলে ক্রেতারা অভিযোগ জানালেও বিক্রেতাদের দাবি লবন বিক্রি হচ্ছে প্যাকেটের গায়ে থাকা নির্ধারিত মূল্যেই।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক নারী জানান, ঢাকা থেকে মেয়ে ফোন করে বেশি করে লবন কিনতে বলায় তিনি পাঁচ কেজি লবন ক্রয় করেছেন।নির্ধারিত দামের চেয়ে অল্প কিছু টাকা বেশি নিয়েছে বলে জানান তিনি।
আফজাল হোসেন নামের এক ক্রেতা জানান, প্রতিবেশিরা সকলেই পাঁচ থেকে ১০ কেজি করে লবন ক্রয় করছে। দুই একদিনের মধ্যে প্রতি কেজি লবনের দাম দুইশো টাকা হয়ে যাবে। তাই তিনি ১৫ কেজি লবন ক্রয় করেছেন বলে জানান।
মানিকগঞ্জ শহরের দুধবাজার এলাকার মের্সাস আল মাসুদ জেনারেল স্টোরের পরিচালক মাসুদ খান জানান, দুপুরের পর থেকে হুট করে পাইকারী ও খুচরা লবনের ক্রেতা বেড়ে যায়। সারাদিনে কমপক্ষে ৫০ বস্তা লবন খুচরা বিক্রয় করা হয়েছে। সবশেষ তার দোকানে বিক্রির মতো চিকন কোন লবনের প্যাকেট নেই বলে জানান তিনি।
মহিউদ্দিন স্টোরের রফিকুল ইসলাম জানান, দুপুর থেকে লবন কেনার জন্য প্রচুর পরিমাণে ক্রেতা আসছে। দুপুর থেকে বিকেল সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত তিনি কমপক্ষে দুই হাজার কেজি লবন বিক্রি করেছেন। এখনো অনেক ক্রেতা আসছে। তবে বিক্রয় করার জন্য কোন লবন নেই। প্যাকেটের গাঁয়ে দেওয়া নির্ধারিত দামেই লবন বিক্রয় করেছেন বলে জানান তিনি।
মানিকগঞ্জ জেলা ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল জানান, লবনের দাম বৃদ্ধির গুজবের বিষয়টি জানতে পেরেছি। শিঘ্রই বিষয়টি সরেরজমিনে বাজার পরিদর্শনের যাওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক এসএম ফেরদৌস জানান, লবনের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি সঠিক নয়। এটি একেবারে গুজব। এ ব্যাপারে মাইকিং করে জনসাধারনদের সচেতন করা হবে বলে জানান তিনি।