বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ লবণ নিয়ে ছড়ানো গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহবান জানিয়েছে সরকার। লবণ নিয়ে কোনো ব্যক্তি বা মহল গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। মঙ্গলবার এক তথ্য বিবরণীতে এ কথা জানানো হয়।
বিবরণীতে বলা হয়, ‘লবণ নিয়ে কিংবা অন্য কোনো বিষয়ে কোনো ব্যক্তি বা মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বা অন্য যে কোনভাবে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
একটি মহল পরিকল্পিতভাবে দেশে গুজব ছড়ানোতে লিপ্ত রয়েছে। সম্প্রতি দেশে লবণের প্রাপ্যতা নিয়েও গুজব ছড়ানোর একটি অপচেষ্টা চলছে।
ইতোমধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে গনমাধ্যমে জানানো হয়েছে যে, প্রকৃতপক্ষে দেশে লবণের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে এবং ডিসেম্বর মাসেই দেশে নতুন লবন উৎপাদিত হয়ে বাজারে আসবে। বর্তমান মজুতের সাথে যোগ হবে নতুন উৎপাদিত লবন। ফলে দেশে লবনের কোনো সংকট নেই বা এমন কোনো সম্ভাবনাও নেই।
আজ শিল্প মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, লবণের সংকট তৈরি করে বেশি মুনাফা লাভের আশায় একটি স্বার্থানেষী মহল গুজব ছড়িয়ে লবণের দাম বাড়িয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার অপচেষ্টা করছে।
এতে আরো বলা হয়, দেশে বর্তমানে সাড়ে ৬ লাখ মেট্রিক টনের বেশি ভোজ্য লবণ মজুদ রয়েছে। এর মধ্যে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের লবণ চাষিদের কাছে ৪ লাখ ৫ হাজার মেট্রিক টন এবং বিভিন্ন লবণ মিলের গুদামে ২ লাখ ৪৫ হাজার মেট্রিক টন লবণ মজুদ রয়েছে।
এছাড়া সারাদেশে বিভিন্ন লবণ কোম্পানির ডিলার,পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতাদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে লবণ মজুদ রয়েছে। পাশাপাশি চলতি নভেম্বর মাস থেকে লবণের উৎপাদন মৌসুম শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া ও মহেশখালী উপজেলায় উৎপাদিত নতুন লবণও বাজারে আসতে শুরু করেছে।দেশে প্রতি মাসে ভোজ্য লবণের চাহিদা কম-বেশি ১ লাখ মেট্রিক টন। অন্যদিকে লবণের মজুদ আছে সাড়ে ৬ লাখ মেট্রিক টন।
উল্লেখ্য,লবণ সংক্রান্ত বিষয়ে তদারকির জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) প্রধান কার্যালয়ে ইতোমধ্যে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।যে কোনো তথ্যের প্রয়োজনে ০২-৯৫৭৩৫০৫ (ল্যান্ড ফোন),০১৭১৫-২২৩৯৪৯ (সেল ফোন) কন্ট্রোল রুমের সাথে যোগাযোগের করা যাবে।