কাজী দুলাল, দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর দুমকিতে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা কেন্দ্রে আগত মা অভিভাবকদের জন্য অপেক্ষা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশিদ হাওলাদারের উদ্যোগে ব্যতিক্রমধর্মী এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের পরীক্ষা কেন্দ্রগুলো সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, পরীক্ষা কেন্দ্রের নির্ধারিত সীমানার বাইরে অভিভাবকদের জন্য চেয়ার, টেবিল ও প্রয়োজনীয় বিভিন্ন উপকরণসহ তৈরি করা হয়েছে অপেক্ষা কেন্দ্র। এসব অপেক্ষা কেন্দ্রে চা, মুড়ি, বিস্কুট ও পান-সুপারিসহ দৈনিক পত্রিকাও সরবরাহ করছে উপজেলা পরিষদ।
সুবিধাভোগী মায়েরা জানান, আগে পরীক্ষা কেন্দ্রে বাচ্চাদের রেখে আমাদের এদিক সেদিক ঘুরতে হত। এখন আমরা অপেক্ষা কেন্দ্রে বসে সময় কাটাতে পারছি। তাছাড়া আমরা সকল মায়েরা একটি সুনির্দিষ্ট জায়গায় অপেক্ষা করায় বাচ্চারাও পরীক্ষা শেষে আমাদের সহজে খুঁজে পাচ্ছে।
পিইসি পরীক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন কেন্দ্র সচিব বিলকিছ বেগম বলেন, অপেক্ষা কেন্দ্র থাকায় অভিবাবকরা আর পরীক্ষা কেন্দ্রের আশেপাশে ঘুরে বেড়ায় না। এতে পরীক্ষার পরিবেশ সুন্দর থাকছে। এদিকে উপজেলা পরিষদের এমন উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন স্থানীয়রাও।
পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনে আসা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রোগ্রাম অফিসার শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে দেশের বিভিন্ন স্থানে পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন করেছি। তবে মা অভিভাবকদের জন্য এ ধরনের বিশেষ ব্যবস্থা কোথাও আমার চোখে পড়েনি। আশা করছি মায়েদের জন্য অপেক্ষা কেন্দ্র নির্মাণের বিষয়টি এখান থেকেই সারা দেশে ছড়িয়ে যাবে।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে দুমকি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশিদ হাওলাদার বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় মূলত মায়েরাই বাচ্চাদের পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে আসেন। একারণে তাদের জন্য অপেক্ষা কেন্দ্র তৈরি করে দেয়া হয়েছে, যাতে করে তাদের আর এদিক সেদিক ঘোরাফেরা করতে না হয়। এতে পরীক্ষা কেন্দ্রের পরিবেশও সুন্দর থাকে। ভবিষ্যতে অন্যান্য পাবলিক পরীক্ষাগুলোতেও মা অভিভাবকদের জন্য এধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
#