অনিয়মকারীদের কোন ছাড় হবে না: শেখ হাসিনা

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ যুবকদের বিশেষ করে নেতা-কর্মীদেরকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে রাজনীতি করার আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখার দৃঢ় সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, অনিয়মকারীদের কোন ছাড় হবে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দিন-রাত দেশের মানুষের জন্য পরিশ্রম করে যাচ্ছি। চলার পথে কেউ যদি বিপথে যায় এবং সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক ও দুর্নীতিতে জড়ায়, সে যেই হোক আমি তাদের ছাড়ব না। তাদের প্রতি আমার কোন সহানুভূতি থাকবে না।’

শেখ হাসিনা আজ সকালে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সপ্তম জাতীয় কংগ্রেসের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।

তিনি বলেন, এই দেশ জাতির পিতা শুধু স্বাধীন করেই যান নাই। এর আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য তিনি বুকের রক্তও দিয়ে গেছেন। সেকথা সবাইকে স্মরণ রাখার আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘এই দেশ কখনো ব্যর্থ হতে পারে না, এদেশকে আমরা সফল করে তুলেছি এবং সেই সফলতার পতাকা নিয়েই আমরা সামনে এগিয়ে যাব এবং একদিন স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বে যে মর্যাদা পেয়েছিল সেই মর্যাদা আরো বৃদ্ধি পাবে এবং জাতির পিতার স্বপ্ন আমরা পূরন করবো।’

এদেশের জনগণের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ যেন ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেজন্য তাঁর সরকার শতবর্ষ মেয়াদি ‘ডেল্টা পরিকল্পনা-২১০০’ বাস্তবায়ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আদর্শ নিয়ে চলতে হবে। আদর্শের মধ্যদিয়েই একটি সংগঠন যেমন গড়ে ওঠে তেমনি দেশকেও কিছু দেওয়া যায়। সেই কথাটাই সবসময় মাথায় রাখতে হবে।’

অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন। সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক চয়ন ইসলাম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশিদ এবং সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট বেলাল হোসেন শোক প্রস্তাব পাঠ করেন।

এরআগে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন এবং বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে যুবলীগের সপ্তম জাতীয় কংগ্রেসের উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চারনেতা, মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদ, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ ১৫ আগস্টের সকল শহিদ, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাসহ সকল গণআন্দোলনের শহিদ এবং ষষ্ঠ জাতীয় কংগ্রেস থেকে এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের শাহাদৎ বরণকারী নেতা-কর্মীদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
সারারদশের ৭৭টি সাংগঠনিক জেলা থেকে ২৮ হাজারেরও বেশি কাউন্সিলর যুবলীগের এই ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন।

Print Friendly

Related Posts