বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে ঐতিহাসিক টেস্ট খেলতে নেমে তৃতীয় দিনে ৪৫ মিনিট ব্যাটিং করে ব্যর্থতার ষোলোকলা পূর্ণ করে মুমিনুলবাহিনী। যা হওয়ার তা তো সেই প্রথমদিনের প্রথম ইনিংসেই হয়েছিলো। ৩০ ওভার ব্যাটিং করে ১০৬ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর এলোমেলো বোলিং। একটি শতক ও দুটি অর্ধশতকে ভর করে ৩৪৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছিলো ভারত। দ্বিতীয়দিন ৬টি উইকেট খুইয়ে হার নিশ্চিত মেনেই দিন শেষ করেছিলো বাংলাদেশ।
ইডেনের এ জয়ে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে টিম ইন্ডিয়া। ইতিহাসের প্রথম দল হিসেবে টানা ম্যাচে ইনিংস ব্যবধানে জিতলো বিরাট কোহলিরা। ভারতের এটি টানা সপ্তম টেস্ট জয়, যা তাদের ইতিহাসে এই প্রথম। তাছাড়া এ জয়ে স্পিনারদের কোনো উইকেটই শিকার করতে হয়নি। বাংলাদেশের সবগুলো উইকেটই নিয়েছেন ভারতের পেসাররা। ইশান্ত শর্মা প্রথম ইনিংসে ৫টি ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৪টি উইকেট নেন। উমেশ যাদব দ্বিতীয় ইনিংসে ৫টি নেয়ার আগে প্রথম ইনিংসে ৩টি উইকেট নেন। বাকি দুটি শামি শিকার করেন।
কলকাতা টেস্টের ভাগ্য নির্ধারিত হয়েছিলো শনিবারেই। ম্যাচ টেনেটুনে তিন দিনের শেষবেলায় যাবে কিনা সেটাই ছিলো দেখা বিষয়। কিন্তু তৃতীয় দিনে মাত্র ৮.৪ ওভার টিকতে পেরেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ১৯৫ রানে অলআউট হওয়ায় ইনিংস ও ৪৬ রানে জিতে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিলো কোহলি এন্ড কোং।
৬ উইকেটে ১৫২ রান নিয়ে আগের দিনের খেলা শেষ করেছিলো বাংলাদেশ। ৫৯ রানে অপরাজিত ছিলেন মুশফিক। তৃতীয়দিন নেমে মাত্র ৪ বল খেলেই যাদবের বলে ফেরেন এবাদত হোসেন। মুশফিক হাত খুলে খেলার চেষ্টা করে ৭৪ রানে যাদবের শিকারেই ফেরেন। ৯৬ বলের এ ইনিংসে ভালো লড়াই করেছেন বাংলাদেশের এ ব্যাটসম্যান। শেষ উইকেট হিসেবে আল আমিনকে তুলে নেন উমেশ। হ্যামস্ট্রিংয়ে চোটে মাঠ ছাড়া মাহমুদউল্লাহ আর ব্যাটিংয়ে নামতে পারেননি।
সাকিব-তামিমবিহীন দলের ভার ভালোভাবে বইতে পারেননি মুমিনুল হক। ইমরুল কায়েস, সাদমান ইসলাম কিংবা মোহাম্মদ মিঠুনরা ভারত সফরে ছিলেন যারপরনাই ব্যর্থ। তার ওপর ভারতীয় বোলারদের বাউন্সার মাথায় লেগে দুজন আহত (লিটন ও নাঈম)। ক্রিজের মধ্যেই চোটে পড়েন রিয়াদ। আর প্রথম টেস্টে ফিল্ডিংয়ের সময় আঙুল কেটে গিয়েছিলো সাইফ হাসানের। সবমিলিয়ে বিভীষিকাময় টেস্ট সিরিজ পার করলো বাংলাদেশ দল।