জাহিদুল হক চন্দন, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: আমি একজন মা হিসেবে আমার সেই সন্তান আর কোন দিন ফেরৎ পাবো না। এটা চিরসত্য। কিন্তু আমি চাই আমার মতো আর কোন মা যেন এমন করে আর কষ্ট না পায়। দুনিয়ার বুকে এতিম না হয়।
আমার নাতি-নাতনির মতো আর কোন নাতি-নাতনি যেন বাবা না হারায়। কোন স্ত্রী যেন তার স্বামী না হারায়। কোন ভাই যেন অকালে তার ভাইকে না হারায়। কোন বাবা যেন এমন সময়ে কোন সন্তানকে না হারায়।
উপযুক্ত বিচার হোক। সরকার এমন বিচার করুক, বিচারক এমন বিচার করুক যা সারা বিশ্বের মানুষ দেখুক, জানুক, বুঝুক একটা মানুষকে এভাবে নির্মমভাবে দুনিয়া থেকে বিদায় করে দেওয়া হলে তার পরিনাম কি হয়। যারা করেছে, এই কষ্টটা তাদের বাবা মাও বুঝুক।
আর যেন দ্বিতীয়বার কোন সন্তান বাবা হারা না হয়। কোন স্ত্রী স্বামী হারা না হয়। কোন ভাই যেন ভাই হারা না হয়। কঠিন বিচার হোক। উপযুক্ত বিচার হোক বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন এসি রবিউল ইসলামের মা কামনুন্নেসা বেগম।
২০১৬ সালের পহেলা জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজানের জঙ্গী হামলায় নিহত হয় মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার কাটিগ্রাম এলাকার মৃত আব্দুল মালেকের বড় ছেলে এসি রবিউল ইসলাম। এর আগে ২০১২ সালে নিজ উদ্যোগে গ্রামের ঝরে পড়া প্রতিবন্ধী শিশুদের পড়াশুনার জন্য নির্মাণ করেন ব্লুমস নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, পুরো স্কুল জুড়ে রয়েছে রবিউল ইসলামের স্মৃতি। শুধু নেই তিনি। স্বেচ্ছাসেবী কয়েকজন সদস্যের অক্লান্ত চেষ্টায় ধীরগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে রবিউল ইসলামের স্বপ্নের এই প্রতিষ্ঠান।
এসি রবিউল ইসলামের ছোট ভাই শামসুজ্জামান শামস জানান, ২৭ নভেম্বরের রায়টি হবে একটি দৃষ্টান্তমূলক রায়। এই রায়ের মধ্য দিয়ে প্রমাণ হবে যে দেশবাসী এবং সরকার জঙ্গীবাদকে কখনো প্রশয় দেয়নি বা দিবেও না। এই রায়ের দিকে শুধু দেশবাসী নয় বরং বিশ্ববাসীও তাকিয়ে আছে বলে জানান তিনি।