বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, হলি আর্টিজান হামলা মামলার রায়ে সাতজনের ফাঁসি হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে সংবাদপত্রে অনুসন্ধানী রিপোর্ট বিচার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে সহায়তা করেছে। কারণ হলি আর্টিজানে জঙ্গিরা যেভাবে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, এ নিয়ে দেশের মিডিয়াগুলোতে অনেক রিপোর্ট হয়েছে। অনুসন্ধান ধর্মী অনেক প্রতিবেদন প্রকাশ পেয়েছে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দুঃখজনক বিষয় হল জঙ্গি দমন নিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য দিয়েছেন। আমরা নাকি মানুষ ধরে আটক করে রাখি। এরপর চুলদাড়ি বড় হলে তাকে জঙ্গি বানিয়ে হত্যা করেছি। জঙ্গি দমনে বিএনপি সব সময় প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকতা এমন একটি পেশা যাদের মুখে ভাষা নেই তাদের ভাষা দিতে পারে। যে প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না, তাকে প্রতিবাদ করতে উদ্বুদ্ধ করা হয়। সুতরাং এ দায়িত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এজন্যই গণমাধ্যমকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ বলা হয়। সমাজের অসঙ্গতি তুলে ধরার ক্ষেত্রে, দায়িত্বশীলদের কোথায় দায়িত্ব পালন করা দরকার সেটা তুলে ধরতে ভালো রিপোর্টিং অত্যন্ত সহায়ক হয়। আপনারা সত্য বিষয়কে তুলে ধরার চেষ্টা করবেন সব সময়।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দুঃখজনক বিষয় হল জঙ্গি দমন নিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য দিয়েছেন। আমরা নাকি মানুষ ধরে আটক করে রাখি। এরপর চুলদাড়ি বড় হলে তাকে জঙ্গি বানিয়ে হত্যা করেছি। জঙ্গি দমনে বিএনপি সব সময় প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেছে। তথ্যমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকতা এমন একটি পেশা যাদের মুখে ভাষা নেই তাদের ভাষা দিতে পারে। যে প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না, তাকে প্রতিবাদ করতে উদ্বুদ্ধ করা হয়। সুতরাং এ দায়িত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এজন্যই গণমাধ্যমকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ বলা হয়। সমাজের অসঙ্গতি তুলে ধরার ক্ষেত্রে, দায়িত্বশীলদের কোথায় দায়িত্ব পালন করা দরকার সেটা তুলে ধরতে ভালো রিপোর্টিং অত্যন্ত সহায়ক হয়। আপনারা সত্য বিষয়কে তুলে ধরার চেষ্টা করবেন সব সময়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যম সব সময় জঙ্গিদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করেছে। ভবিষ্যতে জঙ্গি তৈরি না হওয়ার ক্ষেত্রে সংবাদপত্রের রিপোর্টগুলো সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। ইউরোপ ও আমেরিকাসহ বিশ্বের অনেক দেশ জঙ্গি দমন করতে পারেনি। আমরা পেরেছি। আমরা নির্মূল করেছি বলব না, তবে দমন করেছি। এক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অনেক জোরাল ভূমিকা রাখছে।
ডিআরইউ এবার ৯টি ক্যাটাগরিতে ১০ জন সাংবাদিককে বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড ২০১৯ দিয়েছে। বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে বিজয়ীরা হলেন- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে দৈনিক যুগান্তরের সিনিয়র রিপোর্টার মিজান চৌধুরী, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে ডেইলি স্টারের মোহাম্মদ আল-মাসুম মোল্লা, অনুসন্ধানে বাংলা ট্রিবিউনের শাহেদ শফিক, বাণিজ্য ও অর্থনীতিতে যৌথভাবে বিজয়ী হয়েছেন দ্য ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের জসিম উদ্দিন হারুন ও দৈনিক কালের কণ্ঠের জিয়াদুল ইসলাম। এছাড়া ক্রীড়ায় দৈনিক প্রথম আলোর তারেক মাহমুদ, সাহিত্য-সংস্কৃতি-ঐতিহ্যে দৈনিক সমকালের তপন দাস। টেলিভিশন ক্যাটাগরিতে সেবা খাতে এনটিভির শফিক শাহীন, অনুসন্ধানে একাত্তর টিভির আদনান খান (নয়ন আদিত্য) এবং বাণিজ্য ও অর্থনীতিতে চ্যানেল২৪-এর মোর্শেদ হাসিব হাসান।
বিজয়ীদের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা মূল্যমানের চেক তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম ও জুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান ডিআরইউ’র সাবেক সভাপতি শাহজাহান সরদার। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ডিআরইউ’র সাংগঠনিক সম্পাদক ও বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড উপকমিটির আহ্বায়ক আফজাল বারী।