মোহাম্মদ জ.ই. বুলবুল: ভাংতি টাকা আনার কথা বলে মাকে নৌকা ঘাটে বসিয়ে মেয়ে সেই যে গেল আর ফিরে এলো না। ঘন্টার পর ঘন্টা নৌকাঘাটে মা অপেক্ষা করে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও মেয়ের সন্ধান না পেয়ে, অবশেষে তিনদিন পর সোমবার থানায় নিখোঁজ সাধারণ ডায়েরি করেছে অসহায় মা মোছেনা বেগম।
ঘটনাটি গত ২২ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর সদর বাজারে ঘটেছে।
জানা যায়, নবীনগর উপজেলার উরখুলিয়া গ্রামের আইযুব মিয়ার কন্যা খাদিজা বেগমের সাথে একই উপজেলার দূর্গারামপুর গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী মমিন মিয়ার ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে বিয়ে হয়। গত ৩ মার্চ সৌদি আরবে স্বামীর কাছে চলে যান খাদিজা বেগম। দীর্ঘ ৬ মাস স্বামীর সাথে সৌদি আরবে থাকার পর ২৭ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরে আসেন।
গত ২২ নভেম্বর ডাক্তার দেখাতে নবীনগর এলে নবীনগর সদর বাজারের নৌকাঘাটে তার মা মোছেনা বেগমের সাথে দেখা হয়। ওই সময় টাকা ভাংতি আনার কথা বলে খাদিজা বেগম তার মাকে নৌকাঘাট বসিয়ে দিয়ে চলে যাওয়ার কয়েক ঘন্টা অতিবাহিত হওয়ার পরও, খাদিজা বেগম ফিরে না আসায় মা মোছেনা বেগম নবীনগর সদর বাজারে মেয়েকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। দিনভর তালাশ করেও মেয়ের কোন সন্ধান না পেয়ে তার শশুর বাড়িতে বাড়িতে খবর নিয়ে জানতে পারে ওইখানে সে যায়নি। কোন আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতেও যায়নি। নিখোঁজের তিন দিন পার হয়ে গেলেও মেয়েকে না পেয়ে অবশেষে সোমবার খাদিজার মা মোছেনা বেগম নবীনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। ডায়েরি নং ৯৫৩।
এ বিষয়ে খাদিজা বেগমের বড় ঝা শিউলী বেগম বলেন, আমাদের সংসারে কোন অশান্তি নেই। খাদিজা ডাক্তারের কাছে আসার সময় আমার শাশুড়ি তাকে গরম দুধ খেতে দিয়েছে। আমার শাশুড়ি আমাদেরকে মেয়ের মতো স্নেহ করেন। খাদিজা নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে আমার শাশুড়ি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
এ বিষয়ে নবীনগর থানার ওসি তদন্ত রাজু আহম্মেদ সাধারণ ডায়েরির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি নিখোঁজ খাদিজা বেগমকে দ্রুত সময়ে উদ্ধার করার জন্য।