আরিফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের সখীপুরে পকেটে ইয়াবা দিয়ে এক যুবককে ফাঁসানোর সময় তিন পুলিশ সদস্য ও এক সোর্সকে আটক করে গণধোলাই দিয়েছে এলাকাবাসী।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে সখীপুর থানায় পাঁচ পুলিশ সদস্য ও দুই সোর্সের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এদের মধ্যে আটককৃত চারজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রাতে সখীপুর উপজেলার হতেয়া রাজাবাড়ির বাজার এলাকায় ইয়াবা দিয়ে এক ব্যক্তিকে ফাঁসাতে গিয়ে জনরোষে পড়ে ওই পুলিশ সদস্যরা। পরে রাত পৌনে ৮টার দিকে তাদেরকে উদ্ধার করে সখীপুর ও মির্জাপুর থানা পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন- মির্জাপুরের বাশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই রিয়াজুল ইসলাম, কনস্টেবল গোপাল সাহা, রাসেল ও পুলিশের সোর্স হাসান। অপর তিনজন পলাতক রয়েছে। এরা হলেন- ওই ফাঁড়ির কনষ্টেবল হালিম ও মোজাম্মেল এবং পুলিশের সোর্স রাজবাড়ির আল আমীন।
শুক্রবার(২৯ নভেম্বর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় জানান, ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্যে তারা সেখানে গিয়েছিল। এ ব্যাপারে সখীপুর থানার এসআই আইনুল হক বাদি হয়ে সাতজনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা করেছে। তাদের কাছ থেকে ২৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, এএসআই রিয়াজুলের নেতৃত্বে ওই পুলিশ সদস্যরা গাবিলার বাজারে গিয়ে হতেয়া রাজাবাড়ির ভাতকুড়াচালার ফরহাদ মিয়ার ছেলে বজলুকে পকেটে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করে। এসময় স্থানীয় জনতা বিষয়টি টের পেয়ে পুলিশ সদস্যদের আটক করে রাজাবাড়ি আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এলাকার একটি দোকানে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের গণধোলই দিয়ে আটকে রাখে। খবর পেয়ে এলাকার শত শত জনতা ঘটনাস্থলে ভীর জমায়। খবর পেয়ে সখীপুর এবং মির্জাপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং তাদেরকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
ছবি : আটক তিন পুলিশ সদস্য ও এক সোর্স