শিল্পী বিন্দিয়া’র স্বপ্নযাত্রা

আতাতুর্ক কামাল পাশা: ২০০৮ সালে কুমার শানুর সাথে গান গাওয়া কলকাতার সা-রে-গা-মা-পা-খ্যাত বাংলাদেশের সেই বিন্দিয়া খান সম্প্রতি কিছু অ্যাওয়ার্ড ও সম্মাননা পেলেন।

দেশের বেশ কিছু নান্দনিক বরেণ্য গোষ্ঠী তাঁকে পুরস্কৃত করলেন। তাঁর শিল্পীসত্বাকে স্বীকৃতি দিয়ে সম্মাননা প্রদান করলেন অনন্যা সোস্যাল ফাউন্ডেশান বেস্ট পারফর্মেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০১৯।

সম্প্রতি বারী স্মৃতি পরিষদ-২০১৯ তাঁকে সঙ্গীতে সম্মাননা স্মারক ও সার্টিফিকেট প্রদান করলেন। এসব শিল্পীকে যেমন তৃপ্ততা দেয় তেমনি ভক্তদেরও আনে শিল্পীর প্রতি এক অনন্য ভালবাসা।

বিন্দিয়া খান এখন অনেক ব্যস্ত সময় পার করছেন বিভিন্ন চ্যানেলে ও অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে। ইতিমধ্যে স্টারপ্লাস কমিউনিকেশন আ্যাওয়ার্ড-২০১৯ তাঁকে সঙ্গীতে বিশেষ অবদানের জন্য মনোনীত করেছেন। আসছে ১৩ ডিসেম্বর তাঁর হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেবে।

এসব নিয়ে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, দীর্ঘদিনের সঙ্গীত সাধনার জীবনে আপনি কতটুকু স্বার্থকতা লাভ করেছেন ?

বিন্দিয়া খান বলেন, সঙ্গীত জগত বিশাল এক সমুদ্র। এ জগতে এখনো আমি একজন ছাত্র মাত্র। এ সমুদ্রের বিশাল জলরাশির একটি বিন্দুকণা নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করছি মাত্র। সামনে অনেক পথ পড়ে আছে এখনো আমার। এজন্য আমি আমার দর্শক-শ্রোতাদের দোয়া ও শুভকামনা চাচ্ছি। আমি নিষ্ঠার সাথে আমার সাধনা চালিয়ে যাচ্ছি, বাকিটা আমার ভাগ্য আর দর্শক-শ্রোতাদের দেয়া প্রেরণা। আমি সামনে অনেক দূরে এগিয়ে যেতে চাই, জানিনা পারব কীনা। চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়েছি, নাটকের গানে কাজ করেছি। অনেক বরেণ্য গীতিকার ও সুরকারের গানে কণ্ঠ দিয়েছি। তবু মনে হয় আমি বিশাল সমুদ্রের মাত্র মাত্র একটি কণাকে ছুঁতে পেরেছি, সামনে আরো অনেক পথ বাকি। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন।

সামনের খুব নিকটের কোন ঘটনা রয়েছে কি, এমন প্রশ্নে জবাবে বিন্দিয়া খান বলেন, দেখুন, আমি ইংরেজিতে মাস্টার্স করেছি মাত্র। ধ্রুপদী সঙ্গীতে ও চটুল (আধুনিক) গানের তালিম আমি লাভ করি প্রথমতঃ আমার পিতা ওস্তাদ মোহাম্মদ ইয়াসিন খান এর কাছ থেকে। সঙ্গীতের ওপর বিশেষায়িত জ্ঞান এখনো আমার অনেক কম। তাই আমি চেষ্টা করছি, খুবই দ্রুত ভারতের একটি উচ্চতর সঙ্গীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন।

Print Friendly

Related Posts