নবীনগর মুক্ত দিবস

জ,ই বুলবুল:  ১৪ ডিসেম্বর পাকসেনাদের কবল থেকে মুক্ত হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর। ৮ ডিসেম্বর উপজেলার ইব্রাহিমপুর গ্রামে মুক্তিযোদ্ধারা অবস্থান করে ওই রাতেই নবীনগর সদরকে মুক্ত করার লক্ষ্যে আক্রমণের নীল নকশা প্রনয়ণ করে।

৯ ডিসেম্বর ভোরে মুক্তিযোদ্ধারা নবীনগর সদরের দক্ষিণে মাঝিকাড়া গ্রামে অবস্থান করে এবং নবীনগরের সদরের উত্তর দিক দিয়ে অবস্থান নিয়ে পৃথকভাবে দুইটি দল মরণপন আক্রমণ চালায়। মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে এক পাক সেনা আটক হওয়ার পর মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে পাক সেনাদের সারেন্ডারের প্রস্তাব দেওয়া হলে ১২ ডিসেম্বর সকালে পাক সেনারা সারেন্ডার করার প্রস্তাবে রাজি হওয়ার পর পাক সেনাদের মাঝে দেখা দেয় মতানৈক্য। একদল মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্নসমর্পনে রাজি হলেও আরেকদল ভারতীয় সৈন্যদের কাছে আত্নসমর্পন করতে আগ্রহী, আরেকদল বঙ্গোসাগরে অগ্রসরমান মার্কিন ৭ম নৌবহর এন্টার প্রাইজ এর সম্ভাব্য উদ্ধার হওয়ার প্রত্যাশায় সারেন্ডার করে নাই।

১৩ ডিসেম্বর মিত্রবাহিনী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিকটবর্তী হরণগ্রাম থেকে নবীনগর পাকসেনাদের অবস্থানের উপর কামানের গোলা নিক্ষেপ করলে নবীনগর সদরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ১৪ ডিসেম্বর হাইস্কুলে পাক সেনাদের জিম্মি করে পুরো নবীনগর শত্রু মুক্ত করেন মুক্তিযোদ্ধারা।

Print Friendly

Related Posts