বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ পৌষের প্রথম দিন আজ। পৌষের শুরুতে দেশজুড়ে জেঁকে বসেছে শীত। উত্তরাঞ্চলের জনপদে ঘন কুয়াশা ও শীতের প্রকোপে এখনই বিপাকে শ্রমজীবী মানুষেরা। পৌষ এলো শীতের বার্তা নিয়ে।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক আব্দুর রশিদ জানান, হিমালয়ের পাদদেশের জেলা হওয়ায় বৃহত্তর দিনাজপুরের ৩টি জেলা ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় ও দিনাজপুরে জেঁকে বসেছে শীত। শনিবার সকাল থেকে জেলায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে। কয়েক বছর পূর্বে দিনাজপুর জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এবার শীতের তীব্রতা বাড়লে তাপমাত্রা ৫ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস নামতে পারে।
অন্যদিকে গাইবান্ধার পলাশবাড়ি, সাঘাটা, সুন্দরগঞ্জ ও ফুলছড়িসহ ৭টি উপজেলায় কুয়াশা ও শীতের তীব্রতা বেড়েছে। আর হিমেল হাওয়ায় জবুথবু হয়ে পড়েছে জনজীবন। ধীরে ধীরে শীত জেঁকে বসতে শুরু করেছে উত্তরের জেলা রাজশাহীতেও। শুক্রবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজশাহী আবহাওয়া অধিদপ্তরের সিনিয়র পর্যবেক্ষক আফরোজা খাতুন বলেন, ‘শীতের তীব্রতা সামনে আরও বাড়তে থাকবে। আর তাপমাত্রাও ধীরে ধীরে নিচের দিকে নামতে থাকবে।’
চলতি ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে শৈত্য প্রবাহের আভাস দিয়েছে রাজশাহী আবহাওয়া অফিস।
ঠাণ্ডা ভয়ের কারণ হলেও আসলে শীত খুবই মজার ঋতু। পৌষ-মাঘ এই দুটি মাস শীতের মাস হিসেবে গণ্য। শীত জেঁকে বসে বলে মওসুমী আয়োজনগুলো আবহমান বাংলার ঐতিহ্যকে আরো সমুন্নত করে রাখে। কৃষাণী-রমণীরা গৃহে ব্যস্ত হয়ে পড়েন শীতের পিঠা-পুলি নিয়ে। ভাপা, চিতই, দুধচিতই, পাটিসাপ্টা, পাকনপিঠা, তেলের পিঠা, ম্যারা পিঠাসহ আরো অনেক নামের ও স্বাদের পিঠায় রসনা বিলাসের আয়োজন চলে বাড়ি বাড়ি।দিকে দিকে খেজুর রসের পায়েস আর খেজুর গুঁড়ের মউ মউ গন্ধ ।এখনতো হাট-বাজার, ফুটপাতে পেশাদার পিঠাওয়ালাদেরও নাগরিকদের রসনা তৃপ্ত করতে দেখা যায়।
অন্যদিকে শীতের সবজি নতুন আলু, শিম, টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি, লালশাক, পালংশাক, মুলা, শালগম ইত্যাদিতে ছেয়ে গেছে কাঁচাবাজার।