নবীনগরে মহান বিজয় দিবসে নানা অনুষ্ঠান 

জ,ই,বুলবুল: ব্রাহ্মনবাড়িয়ার নবীনগরে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির সূর্যসন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা আর মুক্তিকামী জনগোষ্ঠীর সম্মিলিত প্রয়াসে ত্রিশ লক্ষ শহিদ ও দুই লক্ষ মা-বোনের আত্মত্যাগের প্রতিফলন এ স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ । বাঙালী জাতির গৌরবোজ্জ্বল এ মহান বিজয় দিবসের প্রাক্কালে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাঙালী স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতাসহ মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক-সমর্থক জনগোষ্ঠী যারা মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে দিবসের শুভ সুচনা হয়।
উপজেলা প্রশাসন,উপজেলা আওয়ামী লীগ,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,সরকারি-বে-সরকারি দপ্তর ও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন রাষ্ট্রীয় কর্মসুচীর আলোকে দিনব্যাপী কর্মসূচী গ্রহন করে। নবীনগর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ৬.৩২ মিনিটে নবীনগরের উন্নয়নের অগ্রযাত্রার অগ্র্রপ্রথীক জাতীয় সংসদ সদস্য এবাদুল করিম বুলবুল  পুস্পাঞ্জলী অর্পন করে শহীদের শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসুচীর শুভ সুচনা করেন।
পর্যায়ক্রমে সরকারি বে-সরকারি সকল প্রতিষ্ঠানে ও ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল ৮.৩১ মিনিটে নবীনগর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং বিভিন্ন বাহিনী/বিভাগ/শিশু সংগঠন/শিক্ষার্থীদের সমাবেশ, বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ ও অভিবাদন গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
পতাকা উত্তোলন কুচকাওয়াজ ও অভিবাদন গ্রহণ শেষে প্যারেড মঞ্চে প্রধান অতিথি এবাদুল করিম বুলবুল এমপি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মানে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান।
এ সময় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনির, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুম, অফিসার ইনচার্জ রনোজিত রায় অভিবাদন গ্রহন শেষে বক্তব্য রাখেন।
bb-2
এরপর বিভিন্ন বিভাগ ও প্রতিষ্ঠানের উপস্থাপিত স্বাধীনতার বিভিন্ন পেক্ষাপটের চিত্র তুলে ধরে ডিসপ্লে প্রদর্শন করে । ডিসপ্লে ও পুরস্কার বিতরণ শেষে বর্নাঢ্য বিজয় র‌্যালী শহরের প্রধান প্রাধান সড়ক প্রদর্শন করে।
সকাল ১১.৩০ মিনিটে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের লক্ষে ডিজিটাল প্রযুক্তির সার্বজনিন ব্যবহার এবং মুক্তিযুদ্ধ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে সাংসদ এবাদুল করিম বুলবুল যোগ দেন।
সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার মোহাম্মদ মাসুম।
বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনির,পৌর প্রশাসক অ্যাডভোকেট শীব সংকর দাস, সহকারি কমিশনার (ভুমি) ইকবাল হাসান, অফিসার ইনজার্জ রনোজিত রায়, উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি নিয়াজ মোহাম্মদ খান, ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেক, ভাইস চেয়ারম্যান শিউলী রহমান,উপজেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম নজু, মুক্তিযোদ্ধা সামছুল আলম সরকার, মুক্তিযোদ্ধা সামছুল আলম শাহান, মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক, প্রেসক্লাব সভাপতি মাহাবুব আলম লিটন, আ’লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় সাহা, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কমান্ড সভাপতি আব্বাস উদ্দিন হেলাল, যুগ্ন সম্পাদক আবু কাউছার প্রমূখ।
এছাড়াও দলের সভাপতি সাবেক সাংসদ ফয়জুর রহমান বাদল মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
তারপর উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কবির হোসেনের ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে যান। দুপুরে মসজিদ মন্দির ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে জাতির শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে মোনাজাত ও প্রার্থনা এবং হাসপাতাল ও শিশু সদনে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়।
বিকালে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা প্রশাসন একাদশ বনাম বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং পৌরসভা সম্মিলিত একাদশের মধ্যে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।
সন্ধ্যায় গুরুত্বপূর্ন সরকারি,আধা সরকারি,বে-সরকারি ভবন ও স্থাপনাসমূহে আলোক সজ্জা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
Print Friendly

Related Posts