বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ রাজাকারের তালিকায় নিজের নাম দেখে বিস্ময় ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বরিশালের মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট তপন চক্রবর্তী। মুক্তিযোদ্ধা গেজেটে তালিকাভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও কীভাবে তার নাম নিয়ে এই বিভ্রান্তি ঘটলো তা তদন্তের দাবি জানান তিনি।
অ্যাড.তপন চক্রবর্তীর মেয়ে বরিশাল বাসদের জেলা সেক্রেটারি ডা. মনীষা চক্রবর্তীর অভিযোগ, স্থানীয় রাজনৈতিক রোষানলের শিকার তারা। তিনি এই তালিকা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।
রোববার প্রথম দফায় ১০ হাজার ৭৮৯ জন রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।স্বরাষ্ট্র ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে অতীতের সংগ্রহ করা নথি পর্যালোচনা করে এ তালিকা প্রকাশ করা হয় বলে জানায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী।
গতকাল প্রকাশিত রাজাকারের ওই তালিকায় মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট তপন চক্রবর্তী ও তার মাকেও অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। তার মা একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী।
রাজাকারের তালিকায় বাবা ও ঠাকুমার নাম দেখে প্রতিবাদ জানিয়ে বরিশালের বাসদ নেত্রী প্রার্থী ডা. মনীষা তার পোস্টে লিখেছেন: সদ্য প্রকাশিত রাজাকারদের গেজেটে আমার বাবা এবং ঠাকুমার নাম প্রকাশিত হয়েছে। আমার বাবা এড. তপন কুমার চক্রবর্তী একজন গেজেটেড মুক্তিযোদ্ধা, ক্রমিক নং ১১২ পৃষ্ঠা ৪১১৩। তিনি নিয়মিত মুক্তিযোদ্ধা ভাতাও পেয়ে থাকেন! আজ রাজাকারের তালিকায় তিনি ৬৩ নাম্বার রাজাকার। আমার ঠাকুরদা এড. সুধীর কুমার চক্রবর্তীকে পাকিস্তানি মিলিটারি বাসা থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে। তিনিও ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃত। তাঁর সহধর্মিণী আমার ঠাকুমা উষা রানী চক্রবর্তীকে রাজাকারের তালিকায় ৪৫ নম্বরে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে: রোববার যে তালিকা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী প্রকাশ করেছেন তা নতুন কিছু নয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে অতীতের সংগ্রহ করা একাত্তরের রাজাকার বাহিনীর সদস্য হিসেবে যারা ভাতা নিয়েছে বা যাদের নামে অস্ত্র এসেছে, তাদের নাম-পরিচয়, ভূমিকাসহ যেসব তথ্য স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থার কাছে ছিল সেই তথ্য ধরে করা তালিকাই যাচাই-বাছাই করে আবার প্রকাশ করবেন। এরপর পর্যায়ক্রমে অন্য ঘাতক বাহিনীর সদস্যদের তালিকাও প্রকাশ করা হবে।