বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ কনকনে ঠাণ্ডায় বিপর্যস্ত জনজীবন। সকাল আর বিকেলে হাড় কাঁপানো হিমেল হাওয়া। সঙ্গে ঘন কুয়াশায়; ভোগান্তিতে সব বয়সী মানুষ।
চুয়াডাঙ্গায় আজ তাপমাত্রার পারদ নেমেছে ৮ ডিগ্রিতে। দেশের অন্যান্য জেলাতেও শীতের তীব্রতা বেড়েছে। অনেক জায়গায় বেলা করে দেখা মিলছে সূর্যের। তীব্র ঠাণ্ডায় দেখা দিয়েছে শীতজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব। রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন ডাক্তার-নার্সরা। আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু আর বৃদ্ধ। ডায়রিয়া-নিউমোনিয়াসহ ঠাণ্ডাজনিত রোগ প্রতিরোধে সচেতনতার পরামর্শ চিকিৎসকের।
বিশেষ করে প্রচণ্ড শীতে বেশি বিপর্যস্ত রাজধানীর ছিন্নমূল মানুষ। হুট করে শীত জেঁকে বসায় বিপাকে অসহায়-দরিদ্ররা। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের ভোগান্তি উঠেছে চরমে। আর খেটে খাওয়া শ্রমজীবীরা শীতের রাতেও জীবিকার তাগিদে নেমেছেন রাস্তায়।
কনকনে ঠাণ্ডা। এর সঙ্গে বইছে হিম বাতাস। হুট করেই জেঁকে বসেছে শীত। রাজধানীতেই রাতে তাপমাত্রা নেমে এসেছে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। শীতের এমন দাপটে ভোগান্তিতে অসহায় দরিদ্র মানুষজন।
রাত হলে রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশনেই থাকেন জমিলা খাতুন। শীতে কাঁপছেন তিনি। অসহায় এ মানুষ গরম কাপড়ের অপেক্ষায়।
তেমনিভাবে নগরীর খোলা আকাশের নিচে বাস করা বহু মানুষের কাছে শীত আসে কষ্ট নিয়ে। বিশেষ করে বয়স্ক আর শিশুরা সবচাইতে বেশি দুর্ভোগে পড়েন। আর যারা পেটের দায়ে রাতভর কাজ করেন, তারাও আছেন বিপদে। শীত যতোই বাড়ুক না কেন, সংসারের জন্য তাকে কাজ করে যেতেই হবে।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, রাজধানীসহ সারাদেশে আরো বাড়বে শীতের তীব্রতা। তাতে করে অসহায় ভাসমান এসব মানুষের দুর্ভোগের মাত্রাও বাড়বে কয়েকগুণ।