বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ বঙ্গবন্ধু বিপিএল এবারের আসরে চলছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও খুলনা টাইগার্সের দাপট। আজ এক দিন বিরতির পর আজ ফের মাঠের লড়াইয়ে নামছে এই দুই দল। তবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে পৃথক পৃথক ম্যাচে।
সাগরিকায় সাপ্তাহিক ছুটির দিনে প্রথম ম্যাচে খুলনা খেলবে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে। যেখানে মুশফিকুর রহিম ব্রিগেডের লক্ষ্য অপরাজিত থাকার তকমা ধরে রাখার। অন্যদিকে এবারের আসরে টানা তিন ম্যাচ হারা মোহাম্মদ নবীর দল খেলবে প্রথম জয়ের স্বাদ পেতে। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা স্বাগতিক চট্টগ্রাম খেলবে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে। তিন ম্যাচে দুই জয় ও এক হারে ৪ পয়েন্ট পাওয়া দাসুন সানাকার দলের লক্ষ্য থাকবে নিজেদের অবস্থান এগিয়ে নেয়ার। উল্টোদিকে শীর্ষস্থান ধরে রাখতে মাঠে নামবে উড়তে থাকা মাহমুদউল্লাহর দল।
নিজেদের শেষ ম্যাচে রাজশাহীকে ৫ উইকেটে হারিয়ে ফুরফুরে মেজাজে আছে খুলনা। অন্যদিকে তাদের প্রতিপক্ষ রংপুর নিজেদের শেষ ম্যাচে কুমিল্লার বিপক্ষে ১৮১ রান তুলেও হেরেছে ৬ উইকেটের ব্যবধানে। আগের খেলা দুই ম্যাচের তুলনায় অনেকটাই উন্নতি দেখা গেছে রংপুর শিবিরে। দলের অধিনায়ক মোহাম্মদ নবীও হিসেব কষছেন এগিয়ে যাওয়ারই। আগের ম্যাচগুলোর ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে তুলে নিতে চান জয়। তিনি মনে করেন, জয়ের ধারায় ফিরলে শেষ চারে থাকা সম্ভব। অন্যদিকে মুশফিকের দল ক্রমেই নিজেদের নিয়ে যাচ্ছে অনন্য উচ্চতায়। অধিনায়কের বীরত্বে রাজশাহীর বিপক্ষে ১৯০ রানের লক্ষ্যও সহজ করে নিয়ে জিতেছে তারা। তাই অদম্য খুলনার বিপক্ষে জয়ের তাড়নায় মরিয়া রংপুরের ম্যাচটি উপভোগ্যই হবে বলে আশা করছেন দর্শকেরা।
দিনের আরেক ম্যাচে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা চট্টগ্রাম মাঠে নামবে ফেবারিট হয়েই। শেষ ম্যাচে ঢাকাকে রান বন্যায় উড়িয়ে দেয়ার পর মানসিকভাবে আরও চাঙা দলটি। যদিও অধিনায়ক মাহমুদউল্লার চোট ভোগাবে তাদের। গতপরশু ঢাকা প্লাটুনের ম্যাচে আগের হ্যামিস্ট্রিংয়ে ফের চোট পাওয়ায় আজ কুমিল্লার বিপক্ষে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর খেলা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন দলটির সহকারী কোচ মঞ্জুরুল ইসলাম। তার বদলে এদিন চট্টগ্রামকে নেতৃত্ব দিবেন ইমরুল কায়েস। অন্যদিকে তাদের প্রতিপক্ষ কুমিল্লা নিজেদের শেষ ম্যাচে রংপুকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলে ভালো অবস্থানেই আছে। মাহমুদউল্লাহর অনুপস্থিতি কাজে লাগানোর জন্য প্রস্তুত সৌম্য-মুজিবরা। দু’দলই জয়ের ধারায় থাকায় ম্যাচটি টানটান উত্তেজনাপূর্ণ হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
জয়ের লক্ষ্যে অনুশীলনে ঘাম ঝড়াতে দেখা গেছে চারটি দলকেই। খুলনা সকাল এগারোটা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে অনুশীলন করেছে। একই মাঠে বেলা তিনটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত অনুশীলন করেছে চট্টগ্রাম। আরেক মাঠ এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে কুমিল্লা ও রাজশাহী বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত অনুশীলনে মত্ত ছিল।
ম্যাচে জয়-পরাজয় ছাপিয়ে দর্শকেরা চান তাদের পয়সা উসুল করতে। যেমনটি বিপিএলে ঢাকা-চট্টগ্রামের খেলায় দেখা গেছে। মারমার-কাটকাট খেলায় শেষ পর্যন্ত চট্টগ্রামের জয় হলেও প্রকৃত জয়টা স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শকেরই। এমন খেলাই প্রত্যাশা করছেন চট্টলার সমর্থকেরা।