বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ জয় পেতে হলে ২৩৩ রান করতে হতো খুলনা টাইগারদের। কিন্তু সিলেট থান্ডারদের দেওয়া বিশাল এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাত্তাই পায়নি মুশফিকুর রহীমরা। ৮০ রানে হেরেছে খুলনা।
সান্তোকি-এবাদত হোসেনদের বোলিং তোপে ১৮.৩ ওভারে ১৫২ রান করতেই সব উইকেট হারায় তারা। সিলেট নির্ধারিত ২০ ওভারে আন্দ্রে ফ্লেচারের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেটে করে ২৩২ রান।
এর আগে নিজেদের তিন ম্যাচের তিনটিতেই জিতেছিল মুশফিকের খুলনা। আর নিজেদের চার ম্যাচের চারটিতেই হেরেছিল মোসাদ্দেকের সিলেট।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের চলমান আসরের ১৫তম ম্যাচে মুখোমুখি হয় খুলনা টাইগার্স এবং সিলেট থান্ডার। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন খুলনার দলপতি মুশফিক।
ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ১১ রানের মাথায় বিদায় নেন সিলেটের ওপেনার আবদুল মজিদ (২)। এরপরই দলকে টানতে থাকেন দুই ক্যারিবীয়ান ফ্লেচার এবং জনসন চার্লস। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তারা স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ১৫০ রান।
দলীয় ১৬১ রানের মাথায় বিদায় নেন চার্লস। তার ক্যারিবীয়ান ঝড় তুলে ৩৮ বলে করেন ৯০ রান। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ১১ চার ও ৫ ছক্কায়। এরপর মোহাম্মদ মিঠুন (৩) থিতু হওয়ার আগেই বিদায় নেন। দলপতি মোসাদ্দেক ১১ বলে করেন ১১ রান।
মিঠুন-মোসাদ্দেক ফিরলেও সেঞ্চুরি তুলে নেন ফ্লেচার। ৫৩ বলে ১১ চার আর ৫ ছক্কায় তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন তিনি। বিপিএলের ইতিহাসে এটি ১৯তম সেঞ্চুরি। তবে চলতি আসরে প্রথম। শেষ অবধি ৫৭ বলে ১০৩ রানে অপরাজিত থাকেন এই ক্যারিবিয়ান। নাজমুল হোসেন মিলনের ব্যাট থেকে আসে ১১ রান।
খুলনার রবি ফ্রাইলিঙ্ক ৪ ওভারে ৩৭ রান খরচায় তুলে নেন দুই উইকেট। মোহাম্মদ আমির ৪ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি। শফিউল ইসলাম ও শহিদুল ইসলাম নেন একটি করে উইকেট। মেহেদি হাসান মিরাজ কোনো উইকেট না পেলেও রবিউল ইসলাম একটি উইকেট তুলে নেন।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় খুলনা। মনির হোসেনের বলে গোল্ডেন ডাক নিয়ে ফেরেন আফগান ওপেনার রহমতউল্লাহ গুরবাজ। এরপর সাঈফ হাসান ও রিলে রুশোর ব্যাটে ভালোই এগোচ্ছিল তারা। কিন্তু সাইফ ব্যক্তিগত ২০ রানে রান আউটের শিকার হোন।
দলীয় ৯১ রানে ফিফটি করে ফেরেন রুশোও। দক্ষিণ আফ্রিকান তারকার ৩২ বলে ৫২ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৪ চার ও ৪ ছক্কায়। অধিনায়ক-উইকেটরক্ষক মুশফিক দুর্দান্ত শুরুর আভাস দিলেও ব্যক্তিগত ১২ রানে এবাদতের বলে তালুবন্দী হোন সোহাগ গাজীর হাতে। দ্রুত ফেরেন শামসুর রহমানও (৭)।
তবে দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর ব্যাট হাতেও উজ্জ্বল ছিলেন ফ্রাইলিংক। ২০ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৪৪ রান করেন তিনি। কিন্তু মিরাজ (৪), শহিদুল (২), আমিররা (৪) সঙ্গ দিতে পারেননি তাকে। দলীয় ১৪৭ রানের মাথায় ফেরেন ফ্রাইলিংক। রানের খাতা না খুলে অপরাজিত ছিলেন রবিউল। ‘রিটায়ার্ড হার্ট’ হওয়ায় ব্যাটিংয়ে নামেননি শফিউল।
সিলেটের হয়ে ৪ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন সান্তোকি। মনির হোসেন ও এবাদত হোসেনের শিকার ২ টি করে উইকেট।
চলতি বিপিএলের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান ফ্লেচারের হাতে ওঠেছে ম্যাচ সেরার পুরস্কার।