বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ আজ বড়দিন। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ক্রিসমাস ডে । ২৫শে ডিসেম্বর যিশু খ্রিস্টের জন্মের দিনে এই উৎসবটি পালিত হয়। কারণ খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশু খ্রিস্ট এদিনেই বেথলেহেম নগরীতে অলৌকিকভাবে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষের বিশ্বাস, যিশু খ্রিস্ট মানুষের রূপ ধরে পৃথিবীতে এসেছিলেন সব পাপ থেকে মুক্তি দিতে আর মানবিক বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করতে। তার আগমনকে স্মরণ করে খ্রিস্টানরা শ্রদ্ধা ভালোবাসায় বিশ্বব্যাপী আজ তাকে স্মরণ করছেন ও জাঁকজমকপূর্ণভাবে দিনটি উদযাপন করছেন।
বাঙালিদের কাছে এই দিনটির পরিচয় বড়দিন হিসেবে। এর কারণ যিশু যেহেতু বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য ধর্ম ও দর্শন দিয়ে গেছেন, বিশ্বব্যাপী বিশাল অংশের মানুষ তার দেয়া ধর্ম ও দর্শনের অনুসারী। যিনি এতো বড় ধর্ম ও দর্শন দিলেন ২৫শে ডিসেম্বর তার জন্মদিন। সে কারণেই এটিকে বড়দিন হিসেবে বিবেচনা করে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ। আঠার ও উনিশ শতকে ইউরোপীয়রা এসে এ অঞ্চলে খ্রিস্ট ধর্ম প্রচার করে। যারা ধর্মটি গ্রহণ করেছেন তাদের কাছে এটি আরও মহিমান্বিত বিষয়।
বাঙালি যারা খ্রিস্টান তাদের অধিকাংশই এই ধর্মে রুপান্তিরিত হয়েছেন। তারা ভাবেন যিশু এমন একজন যিনি তাকে ধর্ম দিয়েছেন। তাই তার জন্মদিনটাই তারা সব আবেগ দিয়ে পালন করেন। এ কারণেই দিনটি তাদের কাছে বড়দিন হিসেবে বিবেচিত। বাঙালি সমাজে আঠার শতকের শেষের দিকে এই বড়দিন পালনের চর্চা শুরু হয়েছিল। একই সময়ে এই অঞ্চলের মানুষ ইউরোপীয়দের অনুকরণে জন্মদিন পালনও শুরু করে।
অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের খ্রিষ্টধর্মানুসারীরাও যথাযথ ধর্মীয় আচার, আনন্দ-উৎসব ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করছে।
বড়দিন উপলক্ষে গতকাল রাতেই গির্জায় বিশেষ প্রার্থনা এবং আজ সকাল থেকে বড়দিনের প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে । দিনটি উপলক্ষে অনেক খ্রিষ্টান পরিবার কেক তৈরি ও বিশেষ খাবারের আয়োজন করেছে। রাজধানীর তেজগাঁও ক্যাথলিক গির্জাসহ অন্যান্য গির্জায় বড়দিনের বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে। গির্জা ও এর আশপাশে রঙিন বাতি জ্বালানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভেতরে সাজানো হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি। রাজধানীর পাঁচতারকা হোটেলগুলোতেও ক্রিসমাস ট্রি ও সান্তাক্লজ উপহারের আয়োজন করা হয়েছে।
আজ সরকারি ছুটির দিন। দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে পৃথক বাণী দিয়েছেন।