খান মাইনউদ্দিন, বরিশাল : উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শেষ হলো শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবের নির্বাচন।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেল পাঁচটায় শুরু হয়ে রাত ৮টায় শেষ হওয়া নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেয়ে নিরঙ্কুশ জয়লাভ করেছে মানবেন্দ্র বটব্যাল ও এসএম জাকির হোসেন প্যানেল। ভোটের হিসেবেও বিপরীত প্যানেল এসএম ইকবাল ও মুরাদ আহমেদ প্যানেল নূন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারেনি।
১৬ পদের বিপরীতে ৩৩ প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভোটের ব্যবধান হয়েছে অর্ধেকেরও কম।
ভোটগ্রহণ শুরুর পূর্ব থেকেই প্রেসক্লাব এলাকায় আনন্দঘন মুহুর্তের অবতারণা হয়। মঙ্গলবার সকাল থেকেই বরিশাল মিডিয়া পাড়ার বিভিন্ন স্তরের সাংবাদিকবৃন্দের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে সাংবাদিক মাইনুল হাসান সড়ক।
রাত সাড়ে ১০টায় শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবত বরিশাল প্রেসক্লাব মিলনায়তন থেকে মাইকে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনের পক্ষে এমএম আমজাদ হোসাইন, সাইফুর রহমান মিরণ এবং দেবাশীষ চক্রবর্তী।
বরিশাল জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আতাউর রাব্বি এবং বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ (উত্তর) উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আবুল কালাম আজাদ এবং প্রার্থীদের এজেন্টদের উপস্থিতিতে ওই ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
শহীদ আবদুর রব সেরনিয়বাত বরিশাল প্রেসক্লাব নির্বাচন-২০২০ মোট ভোটার ৮১জন। ভোট প্রদান করেছেন ৭৬ জন। তিনটি ব্যালট বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। মোট ৭৩টি বৈধ ভোট পড়েছে।
উল্লেখ্য, নির্বাচনে সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে একজন প্রার্থী হওয়ায় মিজানুর রহমানকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে।
নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সুন্দর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হওয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন নির্বাচন কমিশন। বরিশাল জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ সার্বিকভাবে নির্বাচন পরিচালনায় সহযোগিতা দিয়েছেন। নির্বাচন কমিশন জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. কাহাবুদ্দিন খানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।
নির্বাচনে বিজয়ী এবং নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বিরা হচ্ছেন- সভাপতি মানবেন্দ্র বটব্যাল ৪৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি এসএম ইকবাল পেয়েছেন ৩০ ভোট। সহসভাপতি হিসেবে কাজী আল মামুন ৫১ এবং তপংকর চক্রবর্তী ৪১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি গোপাল সরকার ২৮ এবং সৈয়দ দুলাল পেয়েছেন ২৬ ভোট।
সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এসএম জাকির হোসেন ৫০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মুরাদ আহম্মেদ পেয়েছেন ২২ ভোট। শাহীনা আজমিন পেয়েছেন ১ ভোট।
কোষাধ্যক্ষ পদে মোশাররফ হোসেন ৪৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। জিয়া শাহীন পেয়েছেন ২৪ ভোট। পাঠাগার সম্পাদক পদে মো. রুবেল খান ৩৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি এম. মিরাজ হোসাইন পেয়েছেন ৩৪ ভোট। সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে সুখেন্দু এদবর ৫০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বেলায়েত বাবলু পেয়েছেন ২৩ ভোট। ক্রীড়া সম্পাদক পদে কে. এম নয়ন ৩৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি এম. জহির পেয়েছেন ৩৪ ভোট। দপ্তর সম্পাদক পদে এম মোফাজ্জেল ৫১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মো. নাসির উদ্দিন পেয়েছেন ২২ ভোট।
সদস্য পদে যথাক্রমে মু. ইসমাইল হোসেন নেগাবান ৫৩, কাজী মিরাজ মাহমুদ ৪৮, সুমন চৌধুরী ৪৮, নুরুল আলম ফরিদ ৪৪, জাকির হোসেন ৪৩, কাজী মেহেরুন নেছা বেগম ৪২, গিয়াস উদ্দিন সুমন ৩৮ ভোট পেয়ে বিজয় হয়েছেন।
তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বিরা পেয়েছেন প্রাচুর্য রানা ৩৪, সৈয়দ মাহমুদ হোসেন চৌধুরী ৩১, নিকুঞ্জ বালা পলাশ ২৯, এম. মোবারক আলী ২৯, মনিরুল আলম স্বপন ২৬, কমল সেন গুপ্ত ২৫, এম. লোকমান হোসাইন ২১।