বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুরসহ ২৯ জনের নাম উল্লেখ এবং ১৫-২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার মামলার এজাহারটি আদালতে আসে। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মন্ডল এজাহারটি গ্রহণ করেন। শাহবাগ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আরিফুর রহমানকে মামলাটি তদন্ত করে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান, মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন, মশিউর রহমান, আবু হানিফ, এ পি এম সুহেল, আমিনুল ইসলাম, তুহিন ফারাবী (চার্টার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ), মেহেদী হাসান, সালেহ উদ্দিন সিফাত (ঢাবির জসীম উদ্দিন হল), নাজমুল হাসান, আয়াতুল্লাহ বেহেশতী, রবিউল হোসেন, আরিফুর রহমান, সাইফুল ইসলাম, আরিফুর রহমান, বিন ইয়ামিন মোল্লা (ঢাবির এ এফ রহমান হল), তরিকুল ইসলাম (এ এফ রহমান হল), আব্দুল্লাহ হিল বাকী (মুহসীন হল), আকরাম হোসেন (এ এফ রহমান হল), আসিফ খান (বিজয় একাত্তর হল), সানাউল্লাহ হক (জিয়া হল), আতাউল্লাহ (শহীদুল্লাহ হল), শাকিল মিয়া (মুহসীন হল), হাসানুল বান্না (বিজয় একাত্তর হল), রবীরুল ইসলাম, রাজ, আরিফুল ইসলামসহ অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ২২ ডিসেম্বর বেলা ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের মামুন-বুলবুল গ্রুপের ৩৫-৪০ জন নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে টেলিনর কর্তৃক রাষ্ট্রপতি বরাবর উকিল নোটিশ প্রদানের প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল। বেলা সাড়ে ১২টায় বিক্ষোভ কর্মসূচি শেষ করে মামুন, বুলবুলের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে মধুর ক্যান্টিনের উদ্দেশে রওনা হন। বাদী ও ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত দাস, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনসহ আরো ৩০-৩৫ জন স্যার ফজলে হাসান আবেদের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে মধুর ক্যান্টিনের সামনে ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে পৌঁছান। সেখানে ডাকসু ভবনের সামনে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মী এবং ডাকসুর ভিপি নুরসহ তার অনুসারী ৪০-৪৫ জন নেতাকর্মীর মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। তখন সঞ্জিত দাস, সাদ্দাম হোসেনসহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দেখে নুর এবং তার সাথে থাকা অন্যরা ছাত্রলীগকে নিয়ে অশালীন, উস্কানিমূলক এবং সাম্প্রদায়িক স্লোগান দিতে থাকে। উস্কানিমূলক ও সাম্প্রদায়িক স্লোগান কেন দেয়া হচ্ছে তা জানার জন্য নুরের কাছে যান সঞ্জিত দাস ও সাদ্দাম হোসেন। নুরসহ অন্য নেতাকর্মীরা তাদের দুজনের উদ্দেশে পুনরায় উস্কানিমূলক স্লোগান এবং ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ মারধর করতে উদ্ধত হন। তখন পরিস্থিতি খারাপ দেখে তারা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীদের সরিয়ে দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করার সময় আসামি নুরসহ ২৯ জন এবং অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জন হত্যার উদ্দেশ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপসহ লাঠিসোটা ও দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। আসামিদের আঘাতে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরো অনেকে গুরুতর জখম হন।