আরিফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার গ্রামীণ জনপদের পিছিয়ে পড়া জনগােষ্ঠীদের একটি গ্রাম বালিয়া। স্বাধীনতার ৪৮ বছর পার হলেও কােনো উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি এ গ্রামে। গ্রামের দুই পাশে বিল আর দুই পাশে ফসলি জমির ক্ষেত। বছরে ৬ মাস পানি বন্দি থাকে গ্রামের মানুষ। রাস্তাঘাট, শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবাসহ সব ধরণের নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত এই গ্রামের মানুষ।
২০১১ সালের আদম শুমারি অনুযায়ী এ গ্রামে জনসংখ্যা এক হাজার ৩৩৯ জন। পরিবার রয়েছে ৩৩৯টি। উপজেলা সদর থেকে এ গ্রামের দূরত্ব ৫ কিলােমিটার হলেও প্রায় ১৫ কিলােমিটার ঘুরে তাদের আসতে হয় সদরে। কােনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই। নেই স্বাস্থ্যকেন্দ্র। গর্ভবতী মায়েদের এক মাস আগে থেকেই উপজেলা বা জেলা হাসপাতালে রাখতে হয় সম্ভাব্য বিপদ এড়াতে। শিক্ষার হার একবারে নিন্ম পর্যায়। অত্যান্ত দুর্গম হওয়ায় এ গ্রামে ছেলে মেয়েদের বিয়ে দিতে চায় না অন্য গ্রামের লােকজন। সব সময় প্রতিকূল পরিবেশের সাথে যুদ্ধ করে টিকে আছে গ্রামের মানুষ গুলাে।
উপজেলার সব চেয়ে বেশি শ্রমজীবী মানুষ দেশের বাইরে রয়েছেন এ গ্রাম থেকে। প্রচুর বৈদেশিক রেমিট্যান্সও আসে এই গ্রামের মানুষগুলাের মাধ্যমে। অথচ তারা বঞ্চিত সকল প্রকার সরকারি সুবিধা থেকে।
গ্রামবাসী অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায়, বালিয়া গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা এতোটাই অনুন্নত যে এই গ্রামে কেউ ছেলে বা মেয়ে বিয়েই দিতে চায় না। কৃষি কাজের ক্ষেত্রে নানা ধরনের সমস্যার মোকাবেলা করতে হয় ।
সরকার স্কুল করতে চাইলে গ্রামবাসী জমি দিতে প্রস্তুত রয়েছে। তবে স্থানীয়রা মনে করেন জনপ্রতিনিধি ও সরকারের প্রচেষ্টা থাকলে বর্তমান অবস্থার খুব দ্রুতই অবসান ঘটবে।
বাসাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী অলিদ ইসলাম জানান, ”বালিয়া গ্রামসহ বাসাইল উপজেলার অবহেলিত এলাকা চিহ্নিত করে সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম (ভিপি জোয়াহের) সাহেবের পরামর্শক্রমে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে এবং খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব কাজ বাস্তবায়ন রুপ নেবে ইনশল্লাহ”।
স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম (ভিপি জোয়াহের) জানান, আগামী দুই মাসের মধ্যে বালিয়া গ্রামের উন্নয়ন মুলক কাজ শুরু হবে। এমনকি পরিকল্পনা অনুযায়ী খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে বালিয়াসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের উন্নয়ন মুলক কাজের চিত্র সকলেই দেখতে পাবে।