বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরীর আসকার দীঘির পাড়ের একটি কমিউনিটি সেন্টারে জাঁকজমকপূর্ণভাবে বিয়ে হল স্টুয়ার্ট-মুক্তার।
স্টুয়ার্ট ব্রিটিশ তরুণ, পুরো নাম গ্রাহাম স্টুয়ার্ট। আর যে তরুণীর সঙ্গে তার মন দেওয়া-নেওয়া তিনি হলেন চট্টগ্রামের তরুণী ফেরদৌসী কবির মুক্তা। লন্ডন থেকে ব্যারিস্টারি শেষ করেছেন তিনি। বাবার নাম হুমায়ুন কবির হেলালী। গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে।
এর আগে ব্রিটিশ ওই তরুণ গত ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশে আসেন। এরপর চট্টগ্রাম নগরীর লাভলেন এলাকার একটি বাসাতে ওঠেন। ধর্মীয় রীতি সেরে গত ২৬ ডিসেম্বর গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান হয় তাদের।
মুক্তার পারিবারিক সূত্র জানায়, মুক্তার বাবা দীর্ঘদিন ধরে ইংল্যান্ডে ছিলেন। মুক্তাও সেখানে ব্যারিস্টারি পড়তে যান। সেখানেই পরিচয় হয় গ্রাহাম স্টুয়ার্টের সঙ্গে। পরে লেখাপড়া শেষে মুক্তা দেশে চলে এলেও যোগাযোগ অব্যাহত থাকে তাদের। এরই মধ্যে স্টুয়ার্ট বিয়ের প্রস্তাব দেন মুক্তাকে। বিষয়টি মুক্তা তার পরিবারকে জানান। পরিবার সব জানার পর ধর্ম ও বাংলাদেশের সামাজিক রীতির বিষয়টি তুলে ধরেন। মুক্তাও বিষয়টি স্টুয়ার্টকে সব খুলে বলেন। ব্রিটিশ এই তরুণ মুক্তাকে পেতে সব শর্ত মেনে নেন। গত ১৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে এসে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। নতুন নাম নেন সাইমন কবির।
এর পর গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় আয়োজন করা ওই জমকালো বিয়ের অনুষ্ঠান। নগরীর গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন বিয়েতে। বিয়ের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন গণমাধ্যম কর্মীরাও।
তারা জানান, বর বিদেশি হলেও বিয়ের আসরে বাংলাদেশি বরের মতোই আচরণ করেন। এই বিয়ে নিয়ে আমন্ত্রিত অতিথিরা ছিলেন উচ্ছসিত। বিয়ের পর কনেকে নিয়ে গ্রাহাম স্টুয়ার্টের লন্ডন ফিরে যাবার কথা রয়েছে।