খান মাইনউদ্দিন, বরিশাল: বাকেরগঞ্জে অনার্স পড়ুয়া এক কলেজ ছাত্রীকে বখাটে জিয়াউল হক আকন কর্তৃক তার শ্লীলতাহানী ও অপহরণের হুমকি দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ওই কলেজ ছাত্রীর মা বাদী হয়ে বখাতে জিয়াউল হক আকনের নামে বাকেরগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ তৎসহ পেনাল কোডের ৫০৬ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভরপাশা ইউনিয়নের আতাকাঠী গ্রামের অনামিকা (ছদ্মনাম) তার নানা বাড়িতে থেকে বরিশাল সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে পড়াশোনা করেন। ওই ছাত্রী কলেজে যাওয়া আসার পথে পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের ভরপাশা গ্রামের মোতাহার আকনের বখাটে পুত্র জিয়াউল হক আকন অনামিকাকে উদ্দেশ্য করিয়া অশালীন ভাষায় খারাপ কথাবার্তা বলে এবং কুপ্রস্তাব ও প্রেম নিবেদন উত্তপ্ত করে। বিষয়টি ছাত্রী তার মাকে জানালে তিনি বখাটে জিয়াকে তার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করা থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এতে সে আরো উত্তপ্ত হয়ে ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। অতঃপর ১ জানুয়ারি বেলা সাড়ে ১১ টার সময় ওই ছাত্রী তার ছোট বোনকে বাকেরগঞ্জ সরকারি বালিকা বিদ্যালয় ভর্তি করার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে রওনা দিয়ে যাবার পথে পৌরসভার অন্তর্গত আগা বাকের লেনের অমল দাসের বাড়ির সামনে কালভার্টের উপর পৌঁছালে বখাটে জিয়া ওই ছাত্রীর পরিহিত ওড়না ধরে টানাটানি করে এবং তাহার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। কলেজ ছাত্রী অনামিকা ডাক-চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করেন। বখাটে জিয়া মামলায় উল্লেখিত সাক্ষীদের সম্মুখে হুমকি দিয়া বলিয়া যায় যে সুযোগ বুঝিয়া সে কলেজ ছাত্রী অনামিকাকে অপহরণ করিবে, তাহার জীবন নষ্ট করিবে, এমনকি তাহার নামে মিথ্যা মামলা দিবে বলিয়া হুমকি দেয়।
এ ঘটনায় কলেজ ছাত্রী অনামিকা ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন। এ বিষয়ে ওই কলেজ ছাত্রী ও তার পরিবার জেলা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি ও বখাটে জনকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, বখাটে জিয়া জাল টাকা ও মাদক ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্ট। সে দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে জাল টাকা ও মাদক ব্যবসা করে বেড়াচ্ছেন।