বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ সারাবিশ্বের মুসলিম উম্মাহর শান্তি, ঐক্য সমৃদ্বি, কল্যাণ কামনা করে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। রবিবার সকাল ১১টার কিছু পরে আখেরী মোনাজাত শুরু হয়।
আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন তাবলিগ জামাতের শীর্ষ খতিব হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ জোবায়ের। মোনাজাতের আগে হেদায়েতি বয়ান করেন তিনি।
এর আগে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে তুরাগতীরে জড়ো হন লাখো মুসল্লি। এছাড়া শনিবার রাজধানীর আশ-পাশের এলাকা থেকে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ইজতেমা ময়দানে এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থান নেন।
অনুকূল আবহাওয়া, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ও ধর্মীয় উদ্দীপনায় ইজতেমার পক্ষ-বিপক্ষ মতাদর্শী মুসল্লিদের অংশগ্রহণ ও কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে শুক্রবার বাদ ফজর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব।
ইমান, আমল ও আখলাক, দাওয়াত ও তাবলীগ সম্পর্কে তাবলীগি বুজুর্গ, ইসলামি চিন্তাবিদ, আলেম ও পাকিস্তানের মাওলানা খোরশেদ আলমের আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় আলমি শুরার তত্ত্বাবধানে প্রথম পর্ব।
এদিকে আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে শনিবার মধ্যরাত থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের এয়ারপোর্ট থেকে জয়দবেপুর চৌরাস্তা,ঢাকা-সিলেট সড়কের গাজীপুর সদরের মীরেরবাজার থেকে টঙ্গী ও আব্দুল্লাহপুর-আশুলিয়া সড়কের আব্দুল্লাহপুর থেকে বাইপাস সড়ক পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ থাকবে। আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে বিশেষ ট্রেন সার্ভিসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া সব আন্তঃনগর এক্সপ্রেস ট্রেন টঙ্গীতে যাত্রাবিরতি করছে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
ইজতেমার প্রথম পর্বে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব-আমিরাত, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, চাঁদ, ইথিওপিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, পাকিস্তান, রাশিয়া, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ আফ্রিকা, স্পেন, সুইজারল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, কাজাখস্তান, খিরকিজস্তান, মালয়েশিয়া, মরক্কো, নেপাল, কেনিয়া, কুয়েত, কাতার, বাহরাইন, জর্দান, দুবাইসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসল্লি ইজতেমায় অংশ নিয়েছেন। বিভিন্ন ভাষা-ভাষী ও মহাদেশ অনুসারে ইজতেমা ময়দানে বিদেশি মেহমানদের ভিন্ন ভিন্ন তাঁবু নির্মাণ করা হয়েছে।
আগামী ১৭ জানুয়ারি দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা শুরু হয়ে ১৯ জানুয়ারি আখেরী মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমা।