বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা শেখ হাসিনা দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেছেন, বাঙালির আঁধার ভেদী আলোর পথের যাত্রা কেউ থামাতে পারবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটা সময় ছিল ’৭৫ এর ১৫ আগষ্টের পর বাংলাদেশ সত্যই অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। কিন্তু সেই অন্ধকার ভেদ করে এখন দেশ আলোর পথে যাত্রা শুরু করেছে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে এবং কেউ এই এগিয়ে যাওয়াকে থামাতে পারবে না।’
প্রধানমন্ত্রী আজ জাতীয় সংসদে তাঁর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে তরিকত ফেডারেশনের সংসদ সদস্য নজিবুল বাশার মাইজভান্ডারির এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন।
ড. শিরীন শারমীন চৌধুরী এ সময় স্পিকারের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যে আদর্শ এবং চেতনা নিয়ে জাতির পিতা এই দেশ স্বাধীন করেছিলেন সেই আদর্শ এবং চেতনা অর্জনের পথে আমরা অনেক দূর অগ্রসর হয়েছি। আজকে বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।’
বিএনপি’র দিকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা জাতির পিতার খুনীদের বিচারের পথ রুদ্ধ করে বিদেশে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছে। যুদ্ধাপরাধী হিসেবে যাদের চলমান বিচার বন্ধ করে তারা (বিএনপি) তাদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দিয়ে মন্ত্রী- প্রধানমন্ত্রীর পদ দিয়েছিল বা ৭ খুনের আসামীকে জেল থেকে মুক্তি দিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিল- সেসব স্বাধীনতা বিরোধীদের কাছ থেকে ভালো কিছু আশা করা যায়না।
তিনি বলেন, ’৭৫’র পর ২১টি বছর জাতির পিতার নাম ও নিশানা ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র হয়েছিল। ৭ মার্চের ভাষণ, জয়বাংলা শ্লোগান এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছিল এই বাংলার মাটিতে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সত্যকে কখনো মিথ্যা দিয়ে চেপে রাখা যায়না, মুছে ফেলা যায় না। সেটা আজকে প্রমাণিত হয়েছে। আর প্রমাণিত সত্য বলেই ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রামাণ্য দলিলে স্থান করে নিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আড়াই হাজার বছরের মধ্যে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা শ্রেষ্ঠ ভাষণ গুলোর মধ্যে স্থান করে নিয়েছে এই ভাষণ।’
শেখ হাসিনা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ে জাতির পিতার অবদানকে এক সময় ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা হয়েছিল। আজকে সেই ইতিহাস উদ্ভাসিত হয়েছে। আজকে ইউনেস্কোর মাধ্যমে জাতিসংঘ ভূক্ত সকল দেশ জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন করবে।
তিনি বলেন, ‘এর থেকে বড় সত্য আর কি আছে। কাজেই কে মানলো, কি মানলো না,কে কি বললো- সেজন্য বাঙালি জাতি বসে থাকেনি।’
‘জাতির পিতা যে বলেছিলেন- সাত কোটি মানুষকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবা না। তাই মানুষের সংখ্যা ১৬ কোটি হলেও বাঙালি এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। আমাদের আর কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না’, বলেন তিনি।