বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ ব্যাপক ধর্মীয় উদ্দীপনা ও ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে শুক্রবার বাদ ফজর মদিনা নিবাসী মাওলানা মুফতি ওসমানের আম বয়ানের মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। ইজতেমায় গতকাল দেশের বৃহত্তম জুমার জামাতে লাখ লাখ মুসল্লি শরীক হন। জামাতে ইমামতি করেন বাংলাদেশের মাওলানা মোশাররফ হোসেন।
আজ শনিবার ইজতেমার দ্বিতীয় দিন। আগামীকাল রবিবার মধ্যাহ্নের পূর্বে যে কোনো সময় আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে সমাপ্তি ঘটবে বিশ্ব ইজতেমার। বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে দেশ-বিদেশ থেকে মুসল্লিদের টঙ্গীমুখী স্রোত অব্যাহত রয়েছে। কাঙ্ক্ষিত আখেরি মোনাজাত পর্যন্ত এ স্রোত চলবে।
জুমার নামাজে ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম প্রমুখ অংশগ্রহণ করেন।
বয়ান:
ইজতেমা ময়দানের মিডিয়া সমন্বয়কারী মো. সায়েম জানান, বাদ ফজর মদিনা নিবাসী মাওলানা মুফতি ওসমানের আম বয়ানের মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। তার বয়ান বাংলায় তরজমা করে মাওলানা আব্দুল্লাহ মনসুর। সকাল সাড়ে ৯টায় তালিমের বয়ান করেন ভারতের মাওলানা মুফতি আসাদুল্লাহ, তার বয়ান বাংলায় তরজমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা মুফতি ওসামা ইসলাম। জুমার নামাজের পূর্বে সালাতুত তাসবিহ নামাজের ফাজায়েল সম্পর্কে বয়ান করেন মাওলানা মুফতি ফয়জুর রহমান।
বাদ জুমা বয়ান করেন দিল্লি নিজামুদ্দিন মারকাযের শীর্ষ মুরুব্বি মাওলানা চেরাগ উদ্দিন, তার বয়ান বাংলায় ভাষান্তর করেন বাংলাদেশের মাওলানা আশরাফ আলী। বাদ আসর বয়ান করেন বাংলাদেশের মাওলানা খান শাহাবুদ্দিন নাসিম। বাদ মাগরিব বয়ান করেন দিল্লির মাওলানা জামশেদ, তার বয়ান বাংলায় অনুবাদ করেন বাংলাদেশের মাওলানা মুনির বিন ইউসুফ।
বয়ানে মদিনা নিবাসী মাওলানা মুফতি ওসমান বলেন, ইজতেমা ওয়ালাদের কাজ হলো পরিপূর্ণভাবে দ্বীনের দাওয়াতের কাজ করা। নবী করিম (স.) দাওয়াতের মেহনতের জন্য হিজরত করেছিলেন। তারপর আবার নিজ এলাকায় এসে দাওয়াতের কাজ জিন্দা করেছিলেন। আমরাও ইজতেমা থেকে শিক্ষা নিয়ে দ্বীনের কাজে বেরিয়ে যাব, যাতে দ্বীনকে দুনিয়ার বুকে জিন্দা রাখা যায়।
তিন মুসল্লির মৃত্যু :
গত বুধ ও বৃহস্পতিবার দুই দিনে ইজতেমা ময়দানে তিন জন মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। এরা হলেন- সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারা বাজার থানার চানপুর লক্ষ্মীপুর গ্রামের মৃত হযরত আলীর ছেলে কাজী আলাউদ্দিন (৬৫), নরসিংদী জেলার বেলাব থানার বিরবাঘরের চন্দনপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে সুরুজ মিয়া (৬০) ও গাইবান্ধা জেলার ফুলছরি থানার টেংরাকান্দি গ্রামের রমজান আলীর ছেলে গোলজার হোসেন (৪০)।