টাঙ্গাইলে তিন স্কুলছাত্রী ধর্ষণ : আদালতে দুই আসামির স্বীকারোক্তি

আরিফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে ৩ স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে আটককৃত তিন আসামির মধ্য দুইজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিকালে টাঙ্গাইলের আদালতে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। আদালত পরিদর্শক তানভীর আহমেদ এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আটককৃতরা হলেন- উপজেলার সন্ধ্যানপুর এলাকার মোখলেছ আলীর ছেলে বাবুল হোসেন (২১), নাজিরাবাদ এলাকার মৃত জব্বার আলীর ছেলে সবুজ ওরফে বাবু (৩০) ও মানাজিচানতারা এলাকার আনছার আলীর ছেলে ইউসুফ আলী খান (২৭)।
এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীদের এক অভিভাবক বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৫-৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ওই চারজন শিক্ষার্থী উপজেলার একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী।
আদালত পরিদর্শক তানভীর আহমেদ বলেন, ‘এঘটনায় তিন আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এর মধ্যে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ইউসুফ আলী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন বিচারক সুমন কুমার রায়। সিনিয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বাবুল স্বীকারোক্তি দেয়। তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন বিচারক আরিফুল ইসলাম। পরে তিন আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।’
ঘাটাইল থানার ওসি (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় সোমবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করা হয়েছে। এরমধ্যে তিনজনকে আদালতে পাঠানো হয়। স্কুলছাত্রীদের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে বলেও তিনি জানান।
মামলা ও ছাত্রীদের পরিবার সূত্রে জানা যায়, রবিবার (২৬ জানুয়ারি) বিদ্যালয় থেকে চার ছাত্রী তাদের দুই বন্ধুর সঙ্গে উপজেলার সাতকোয়া বন এলাকায় বেড়াতে যায়। সন্ধ্যায় ফেরার পথে একদল দুর্বৃত্ত তাদের অপহরণ করে সাতকোয়া বনের গভীরে নিয়ে যায়। পরে ওই ছাত্রীদের পরিবারের কাছে ফোনে মুক্তিপণ দাবি করে দুর্বৃত্তরা। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে দুর্বৃত্তরা তিন ছাত্রীকে ধর্ষণ ও আরেক ছাত্রীকে লাঞ্ছিত করে পালিয়ে যায়। এসময় ওই দুই ছেলে বন্ধুকেও মারধর করা হলে তারাও পালিয়ে যায়। এরপর শিক্ষার্থীরা ওই এলাকার একটি বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। ওইদিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে।
Print Friendly, PDF & Email

Related Posts