বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ বিশ্বমানবের কল্যাণ কামনা করে গত ৩১ জানুয়ারি, শুক্রবার বাদজুমা আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে কুতুববাগ দরবার শরীফের দুই দিনব্যাপী মহাপবিত্র ওরশ ও বিশ্ব জাকের ইজতেমা সম্পন্ন হয়েছে।
কুতুববাগ দরবার শরীফের মহাপবিত্র ওরশ ও বিশ্ব জাকের ইজতেমা গত ৩০ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ বন্দর এলাকায় কুতুববাগ দরবার শরীফে বাদ জোহর থেকে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিলো।
প্রথম দিন দেশ-বিদেশের প্রখ্যাত আলেম ও ওলামায়ে কেরামগণ এ মহতী ওরশ-মাহফিলে কোরআন-হাদিস ও ইজমা-কিয়াসের আলোকে অতি মূল্যবান তাফসির বয়ান করেন।
রাত্রির তৃতীয় প্রহরে খাজাবাবা কুতুববাগী পীর কেবলাজান ভক্ত-মুরিদানসহ ‘রহমতের ডাক’ পালন করেন।
‘সূফীবাদই শান্তির পথ’ এই আহবানে সাড়া দিয়ে মহা ধূমধামে ও জাঁকজমকপূর্ণভাবে কুতুববাগ দরবার শরীফের ওরশ ও জাকের এজতেমায় অংশগ্রহণ করেছে সারাদেশসহ ১১টি দেশের লাখ লাখ জাকেরের, ভক্ত ও অনুরাগী।
বিশ্ববাসীর শান্তি ও মুক্তির লক্ষ মহামূল্যবান নছিহতবাণী পেশ করেন আরেফে কামেল, মুর্শিদে মোকাম্মেল, মোজাদ্দেদে জামান শাহসূফী আলহাজ মাওলানা খাজাবাবা হযরত সৈয়দ জাকির শাহ্ নকশবন্দী মোজাদ্দেদী কুতুববাগী (মাঃ জিঃ আঃ)।
তামাম জাহানের জামে আউলিয়া, জামে আম্বিয়াদের রুহানী উপস্থিতিতে খাজাবাবা কুতুববাগী কেবলাজানের দেশ-বিদেশের লাখ-লাখ আশেক-আশেকিন-জাকের-জাকেরিন, ভক্ত-মুরিদানসহ, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষ আল্লাহ প্রেমীদের মহাপবিত্র এ মিলনমেলায় বিশ্ববাসীর শান্তি ও সার্বিক কল্যাণ কামনায় শুক্রবার বাদজুমা আখেরী মোনাজাত করেছেন ভারতের পান্জাব প্রদেশের মুজাদ্দিদ আলফেসানী(রঃ)-এর মাজার ও দরবার শরীফের বর্তমান পীর ও খলিফা হযরত সৈয়দ মোহাম্মদ সাদিক রেজা মোজাদ্দেদী।
২ দিনব্যাপী ওরশ ও বিশ্বজাকের ইজতেমায় নারায়ণগঞ্জ বন্দর এলাকায় কুতুববাগ দরবার শরীফ-সহ আশপাশের এলাকা সজ্জিত হয়েছিল নান্দনিকতায়। সকলের জন্য সুন্দরভাবে ওজু ও বাথরুমের বিশেষ ব্যবস্থা ছিল । অন্যদিকে মাহফিলে আগত মহিলাদের জন্য ছিল পর্দার সহিত আলাদা প্যান্ডেলের বিশেষ ব্যবস্থা ।
ওরশ উপলক্ষে দেশ-বিদেশের আশেকান-জাকেরান ভক্ত-মুরিদানের পদভারে মুখরিত ছিল পুরো এলাকা। ফলে ওরশ চলাকালীন সময় এখানে বিরাজ করেছে একটি ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশ ও সাজ সাজ রব।
এছাড়াও দুই দিনব্যাপী এ মহতী ওরশ-মাহফিলে কোরআন-হাদিস ও ইজমা-কিয়াসের আলোকে অতি মূল্যবান তাফসির বয়ান করবেন দেশ-বিদেশের প্রখ্যাত আলেম ও ওলামায়ে কেরামগণ।