বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সিটি নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে জনগণ বিএনপিকে প্রত্যাখান করেছে। আর হরতালে সাড়া না দিয়ে জনগণ বিএনপির অভিযোগগুলো প্রত্যাখান করেছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ইতিহাসে অত্যন্ত ভালো একটি নির্বাচন হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনগুলোতে গড়ে ২৪ থেকে ৩০ শতাংশ ভোট প্রদানের নজির আছে। সে তুলনায় আমাদের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২৫ শতাংশ ভোট প্রদানকে ভালো বলতেই হবে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, গতকালের দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপমহাদেশের অন্যান্য নির্বাচন বিবেচনা করলে গতকালের নির্বাচনটি ইতিহাসের একটি ভালো নির্বাচন ছিল।
ভোটার উপস্থিতি কম কেন জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি হিসাব করে দেখেছি যে, মোটামুটি ২৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। ভোটার উপস্থিতি আরও অনেক বেশি হতো। ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ যুক্ত বলে আমি মনে করি। প্রথমত, টানা তিন দিন ছুটি, সেই কারণে ঢাকা শহরের অনেক ভোটার গ্রামে চলে গেছে। দ্বিতীয়ত, ইভিএমের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা চালানোর কারণেই আমি মনে করি ৮/১০ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি কম হয়েছে।’
গোপন কক্ষে কেউ উঁকি দিয়েছে, এটা কি বড় বিষয়?
তথ্যমন্ত্রী বলেন, কোন কোন কাগজে লিখেছে, গোপন কক্ষে কোন কোন জায়গায় উঁকি দেয়া হয়েছে। এত বড় একটি নির্বাচন আড়াই হাজার ভোট কেন্দ্র, ১৩ হাজারেরও বেশি বুথ, এখানে কয়েকটি গোপন কক্ষে কেউ উঁকি দিয়েছে, এটা কি বড় বিষয়? নাকি এত বড় একটি কর্মযজ্ঞ, এত ভোটার, এতগুলো ভোটকেন্দ্র, কোথাও কোনো গণ্ডগোল হয়নি, মারপিটের ঘটনা ঘটেনি, অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হয়েছে, কেন্দ্র দখলের ঘটনা ঘটেনি- সেটি মূল বিষয়?’
“এখানে কে কোথায় উঁকি দিল সেটিকে বড় করে দেখিয়ে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার প্রক্রিয়া বিএনপির। সেটিকে যারা বড় করিয়ে দেখাচ্ছে তারাও নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপির অপচেষ্টার সাথে অংশগ্রহণ করছে ” মনে করেন মন্ত্রী।
ভোটকেন্দ্রের বাইরে বিভিন্ন দল ও দলীয় প্রার্থীদের জন্য ক্যাম্প খোলা দেশের নির্বাচনের ঐতিহ্য উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সেখানে ভোটাররা গিয়ে তাদের ভোটার স্লিপ গ্রহণ করেন। এখানে বিভিন্ন কেন্দ্রে আমাদের দলের পক্ষ থেকে, প্রার্থীদের পক্ষ থেকে নির্বাচনী ক্যাম্প করা হয়েছিল। নির্বাচনী আইন মেনে নির্দিষ্ট দূরত্বে করা হয়েছিল। এখন বিএনপি করতে পারেনি কোনো কোনো ক্ষেত্রে।’
সব ক্ষেত্রে নয়, অনেক ক্ষেত্রে করতে পারেনি মন্তব্য করে এটিকে তাদের সাংগঠনিক দুর্বলতা মনে করেন বলেন তথ্যমন্ত্রী।
হাছান মাহমুদ বলেন, “তারা (বিএনপি) প্রথম থেকে বলে এসেছে নির্বাচনকে তারা আন্দোলনের অংশ হিসেবে নিয়েছে। এমনকি ভোটের দুইদিন আগে (বিএনপি মহাসচিব) মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব বলেছেন, ‘আমাদের সফলতা হচ্ছে সেখানেই যে আমরা ঘর থেকে বের হতে পেরেছি অর্থাৎ নির্বাচনী প্রচারণা-প্রপাগান্ডা চালাচ্ছি।”
তিনি বলেন, এতে জনগণের মধ্যে এই ধারণা জন্মেছে যে, বিএনপি তো জয়লাভের জন্য নির্বাচন করছে না। নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে না। সেই কারণে অনেক ভোটার ভোট দিতে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছে। এসব কারণে ভোটার উপস্থিতি কম হয়েছে।