বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’-এর সপ্তম খণ্ডের মোড়ক উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার অমর একুশে বইমেলা উদ্বোধনের পর সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) স্টলে গিয়ে এই মোড়ক উন্মোচন করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর হাতে গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’র সপ্তমখণ্ড তুলে দেন সিআরআই ট্রাস্টি ও গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’র প্রকাশক রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক।
বইটি হাতে নিয়েই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এইটা ত সেই বই, তাই না।’
প্রধানমন্ত্রীর এই উক্তির কারণ বইটির সম্পাদনায় সরাসরি অংশগ্রহণ ছিলো তার। শিশু-কিশোরদের জন্য তৈরি গ্রাফিক নভেল মুজিবের সপ্তম খণ্ডে উঠে আসে তৎকালীন দুর্ভিক্ষের চিত্র। আর সেখানে মানুষগুলোর অবয়ব পরিবর্তন করে রুগ্ন ও শীর্ণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যেমনটা দুর্ভিক্ষের সময় ছিলো। শুধু তাই নয় বইটির সূক্ষ্ম থেকে সূক্ষ্ম ভুলগুলো খুঁজে বের করে তা ঠিক করে দেন প্রধানমন্ত্রী।
বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র এবং তাঁর বোন শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এক সেট ‘মুজিব’ গ্রাফিক নভেল তুলে দেন প্রধানমন্ত্রীর হাতে। এ সময় উপস্থিত অধ্যাপক আনিসুজ্জামানসহ মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যান্য অতিথিদের হাতে এক সেট করে বই তুলে দেয়া হয়।
মোড়ক উন্মোচনের সময় উপস্থিত ছিলেন সিআরআই এর নির্বাহী পরিচালক সাব্বির বিন শামস, বইটির সম্পাদক শিবু কুমার শীল, কার্টুনিস্ট সৈয়দ রাশাদ ইমাম তন্ময় সহ সিআরআই এর অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
এর আগে প্রথম পর্বে খেলাধুলা, পড়াশোনা, ডাক্তারের কাছ থেকে পালানো, প্রথমবারের মতো কারাবরণের মতো বিভিন্ন কৌতূহলোদ্দীপক কাজের পাশাপাশি দেশের প্রতি তরুণ বয়স থেকেই নিজের বিশ্বাসের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নিতে দেখা যায় কিশোর শেখ মুজিবকে।
দ্বিতীয় পর্বে বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির হাতেখড়ির পাশাপাশি তাঁর প্রেরণা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠার বিষয়টি জানা যায়।
মুজিব-৩ এ বঙ্গবন্ধুর স্কুল ও কলেজের শিক্ষাজীবনের পাশাপাশি সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, দুর্ভিক্ষের সময় মানবিক ভূমিকার বিষয় উঠে আসে।
‘মুজিব-৪’ এ অল ইন্ডিয়া মুসলিম লীগ সম্মেলন শেষে তরুণ শেখ মুজিবের দিল্লির বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ ও ১৯৪৪ সালে ছাত্রলীগের সম্মেলনে তাঁর ভূমিকার বিষয়টি উঠে এসেছে।
‘মুজিব-৫’ এ ১৯৪৫ সালে অত্যন্ত জনপ্রিয় হওয়া সত্যেও শেখ মুজিবুর রহমানকে কিভাবে ছাত্রলীগের পদ থেকে বঞ্চিত করা হয়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং যুদ্ধকে কেন্দ্র করে কিছু স্বার্থান্বেষী মহলের কালোবাজারি এবং দেশের কিছু এমএলএ এবং খান বাহাদুরদের স্বার্থের টানাপোড়েনের কারণে ব্রিটিশ গভর্নরের কাছে ক্ষমতা চলে যাওয়ার কথা বর্ণনা করা হয়। এ সবকিছু দারুণভাবে নাড়া দেয় তরুণ শেখ মুজিবকে।
‘মুজিব-৬’ পর্বে খাজা নাজিমুদ্দিনের নানা কূটকৌশলের বিপরীতে বঙ্গবন্ধুর অবস্থান তুলে ধরা হয়।