মো. রাসেল হোসেন, ধামরাই (ঢাকা) থেকে: ঢাকার ধামরাইয়ে কালামপুর সাটুরিয়া আঞ্চলিক সড়কের পাশে নান্দেশ্বরীতে অবৈধভাবে মেশিন বসিয়ে ভ্রাম্যমাণ সিএনজি ফিলিং (রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস) স্টেশন গড়ে তুলেছেন ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন তার নিজের ইউনিয়ন আমতায় ।
এমনকি অবৈধ সিএনজি ফিলিং স্টেশনটিতে সরকারি সোলার প্যানেল স্থাপন করেছেন তিনি। এতে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে যেকোনো সময় নান্দেশ্বরী, সাটুরিয়া বাজার এলাকায় মারাত্মক দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
ধামরাইয়ে শুধু একমাত্র তিনি তার ক্ষমতার বলে এই ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এ বিষয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই এই চেয়ারম্যানের। এলাকাবাসীর নিরাপত্তার কথা বিবেচনা না করেই অসাধু ব্যবসায়ী চেয়ারম্যান গড়ে তুলেছেন এ স্টেশন।
সরেজমিনে দেখা যায় ধামরাই উপজেলার আমতা ইউনিয়নে নান্দেশ্বরী এলাকায় রাস্তার পাশে কাভার্ড ভ্যান রাখা আছে। আর এ কাভার্ড ভ্যানের ভেতরে সারিবদ্ধভাবে গ্যাস সিলিন্ডার রাখা। গ্যাস সিলিন্ডার থেকে প্লাস্টিকের পাইপ দিয়ে ভাসমান সিএনজি ফিলিং স্টেশনের মাধ্যমে দাহ্য গ্যাস বিক্রি করা হচ্ছে। এখানে নেই কোনো অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা। কথা বলার জন্য মালিকপক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি।
এলাকাবাসীর আরও অভিযোগ, প্রকাশ্যে ঝুঁকিপূর্ণভাবে কাভার্ড ভ্যান থেকে গ্যাস সরবরাহ করা হলেও রহস্যজনক কারণে প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
নান্দেশ্বরী সিএনজি পাম্পের পাশের একটি বাড়ির বাসিন্দা বিলকিছ বেগম বলেন, সব সময়ই আতঙ্কের মধ্যে থাকি কখন কী ঘটে যায়। জোরে শব্দ শুনলেই ভয়ে বুক কেঁপে ওঠে। প্রশাসনের কাছে আবেদন, এটা সরান, আমাদের বাঁচান।
ধামরাই ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার ইনচার্জ মোঃ হুমায়ুন কবির জানান, প্রোপার হ্যান্ডেলিং যদি না হয় তাহলে এখান থেকে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সামিউল হক বলেন, অবৈধ ঝুঁকিপূর্ণ সিএনজি ফিলিং স্টেশন কোনোভাবেই রাখতে দেওয়া হবে না। আমার জানা মতে, এর কোনো অনুমোদন নেই। বিস্ফোরক অধিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। অতিদ্রুতই নান্দেশ্বরীবাসীর নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা এটা বন্ধ করে দেব।