বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনির হত্যায় দু’জন অপরিচিত পুরুষ জড়িত ছিলেন। হাইকোর্টে জমা দেওয়া র্যাবের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সোমবার বিকেলে সাগর-রুনির হত্যা মামলার এ অগ্রগতি প্রতিবেদন হাইকোর্টে জমা দেয় র্যাব। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হত্যাকাণ্ডে দু’জন অপরিচিত পুরুষ জড়িত ছিলেন। সাগর-রুনির ব্যবহৃত কাপড়ে তাদের ডিএনএ শনাক্ত করা হয়েছে।
আগামী বুধবার আদালতের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে মামলাটির শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে।
এর আগে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ গত ১৪ নভেম্বর এ মামলায় সর্বশেষ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য র্যাবকে নির্দেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে মামলার অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। পরে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে এভিডেফিট আকারে প্রতিবেদনটি দাখিল করে র্যাব। এ মামলার কারাগারে থাকা আসামি তানভীর রহমানের আচরণ রহস্যজনক বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
গত ১৪ নভেম্বর এ মামলার এক আসামি তানভীর রহমানের অব্যহতি চেয়ে করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে আসামি তানভীরের সম্পৃক্ততার বিষয়েও ৪ মার্চ প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেন আদালত। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না হওয়া পর্যন্ত তানভীরকে নিম্ন আদালতে হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন আদালত। এর আগে ৭১ বারের মতো পেছায় এই সাংবাদিক দম্পতি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ।
মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে পশ্চিম রাজাবাজারে তাদের বাসায় খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। থানা পুলিশ ও ডিবির হাত ঘুরে ঘটনার দুই মাস পর তদন্তের দায়িত্ব পায় র্যাব। এরপর দফায় দফায় সময় নিলেও এখনও প্রতিবেদন দিতে পারেনি তারা, ফলে শুরু করা যায়নি বিচার।
তদন্ত কর্মকর্তার বরাত দিয়ে গত ১৪ নভেম্বর আদালত বলেন, এই মামলায় এ পর্যন্ত মোট ৮ ব্যক্তিকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার করা হলেও এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাদের কারও সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। গ্রেফতার ব্যক্তিরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেননি।
আদালত বলেন, এফবিআই ৪ ব্যক্তির ডিএনএ শনাক্ত করেছে। তার মধ্যে ২টি ডিএনএ সাগর-রুনির। বাকি দুটি ডিএনএ’র সঙ্গে গ্রেফতার আসামিদের ডিএনএ ম্যাচ করেনি। অর্থাৎ ওই দুই ব্যক্তিকে এ পর্যন্ত শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। আমেরিকার বিশেষায়িত ল্যাবরেটরিতে ডিএনএ’র ওপর ভিত্তি করে সম্ভাব্য অপরাধীদের ‘অবয়ব’ তৈরির চেষ্টা চলছে।