বান্ধবীর একাউন্টে ঘুষের টাকা, ফেঁসে যাচ্ছেন বরিশাল সওজ প্রকৌশলী

খান মাইনউদ্দিন, বরিশাল: বান্ধবীকে ঘুষের টাকা ‘গিফট’ করে দুদকের জালে আটকে গেলেন বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফজলে রাব্বে।

তিন দফায় ৫২ লাখ টাকা বান্ধবীর একাউন্টে জমা দিয়ে দুদকের নজরদারীতে পড়েন এই কর্মকর্তা। দুদক অনুসন্ধানে নামলে পায় অবৈধ পথে অঢেল বিত্ত-বৈভবের সন্ধান। অবশেষে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে এই কর্মকর্তাকে তার সমস্ত সম্পত্তির হিসেব দিতে বলেছে দুদক বলে জানা গেছে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখা হয়েছে। এখন স্বস্ত্রীক সম্পত্তির হিসেব তলব করা হয়েছে।

গত রোববার লিখিতভাবে ফজলে রাব্বে ও তা স্ত্রীর সম্পত্তির হিসেব চেয়েছে দুদক।

জানা গেছে ২০১৯ সালের জানুয়ারীতে সাবেক সরকারি কর্মকর্তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক টাকা থাকার বিষয়টি নজরে আসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। তারা সেই অর্থের বিষয়ে তদন্ত শুরু করলে বেরিয়ে আসে থলের বিড়াল। দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর শনাক্ত করা সম্ভব হয় ওই নারী মূলত বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফজলে রব্বের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী।

শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদে সেই নারী জানান, বিভিন্ন সময় অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ তার ব্যাংক হিসাবে দিয়েছেন ফজলে রাব্বে। এর পরিমাণ প্রায় দেড় কোটি টাকা। যারমধ্যে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক ইউসিবিএল এর ইস্কাটন শাখার একটি ব্যাংক হিসাবে জমা পড়েছিল প্রায় ৫৪ লাখ টাকা। মূলত ফজলে রব্বে ঘুষের একাধিক লেনদেন করেছেন তার বান্ধবীদের ব্যাংক হিসাবে। নিজের হিসাবকে পরিচ্ছন্ন রাখতে এই অভিনব কৌশল নেন তিনি।

দুদক বিষয়টি অনুসন্ধান শুরু করলে ইতিমধ্যে প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্লক করেছে।

জানা গেছে, ওই বান্ধবীর একাউন্টে দেড় কোটির মত টাকা জমা দিয়েছিলেন এই কর্মকর্তা। যা তিনি অবৈধ পথে রোজগার করেছেন।

এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফজলে রাব্বে।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts