বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে কোনো প্রতিদ্বন্দিতাই হয়নি। একেবারে কোণঠাসা করে জিম্বাবুয়েকে ৪৮ রানে হারাল বাংলাদেশ। দুই ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল মাহমুদউল্লাহর দল। আজ দ্বিতীয় ম্যাচটি জিতে সিরিজও জিততে চাইবে টাইগাররা।
শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ইনিংসে ২০১ রানের বড় রান তাড়া করতে নামে জিম্বাবুয়ে। কিন্তু জিম্বাবুয়ে একেবারেই ফিকে ছিল (১৫২/১০,১৯ ওভার)। ওয়ানডের মতো টি-টোয়েন্টিতেও জিম্বাবুয়ে রানের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পারেনি।
মুস্তাফিজ ও আমিনুল ইসলামের দারুণ বোলিংয়ে জিম্বাবুয়ে ম্যাচ থেকে অনেক আগেই ছিটকে যায় (দুজনই ৩টি করে উইকেট নেন)। ওপেনার টেলর ও কামুনহুকামুয়ে ভাল শুরু করতে পারেনি। টপ ফাইভ ব্যাটসম্যানের মাত্র দুজনের রান মাত্র বিশের ঘরে। কামুনহু ২৮ ও অধিনায়ক শন উইলিয়ামস ২০ রান।
আজ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ ৯ ও জিম্বাবুয়ে ১১ নম্বর দল। শ্রীলংকা রয়েছে ৮ নম্বরে। সিরিজ জিতলে উন্নতি ঘটতে পারে বাংলাদেশের র্যাংকিংয়ে।
ঢাকায় শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে প্রথম ইনিংসে তামিম ও লিটন যেন সব উড়িয়ে দেওয়ার জন্য ক্রিজে নেমেছিলেন। তামিম অবশ্য ৪১ রানে থেমে গেলেও ওয়ান ডাউনে নেমে সৌম্য সরকার সেই তাণ্ডব অব্যাহত রাখেন।
৩৯ বলে তার ৫৯ রান করা লিটন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি তুলে সাজঘরে ফেরেন। আর ৩২ বলে ৬২ রান করে সৌম্য অপরাজিত ছিলেন (ক্যারিয়ার সেরা ও দ্বিতীয় ফিফটি)। বাঁ-হাতি এই ব্যাটসম্যান ৪টি চার ও ৫টি ছক্কায় ইনিংসটি সাজান।তিন ব্যাটসম্যানের ঝোড়ো ব্যাটিংয়েই বাংলাদেশ ২০০ রানের মাইলফলকে স্পর্শ করে। তাদের অল্প সময়ের জন্য সঙ্গ দিয়েছিলেন মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ।
অপরদিকে, জিম্বাবুয়ে ৬জন বোলার ব্যবহার করে। সবচেয়ে খরুচে বোলার ছিলেন এমপফু। যিনি ৫৮ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন। তামিম ও লিটন উদ্বোধনী জুটিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ৯২ রান তুলেন। এর আগে ৭৪ রান সর্বোচ্চ ছিল। সে রেকর্ডটিও ছিল তামিম-লিটনের। নিজেদের ছাড়িয়ে গিয়েই তারা নতুন রেকর্ড গড়েন। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২০০ রান করে বাংলাদেশ।
জিম্বাবুয়ে টসে জিতে ফিল্ডিং নেয়।