শকুন ও বাজপাখিটির ঠাঁই হলো রেমা-কালেঙ্গায়

এম এম চৌধুরী কাওসার: জেলার চুনারুঘাট উপজেলার রেমা-কালেঙ্গা পাহাড়ে শকুন ও বাজপাখি অবমুক্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে কালেঙ্গা বনে অবমুক্ত করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান। পরে রেমার ময়না বিলে শকুনটি অবমুক্ত করা হয়।

এ সময় জেলা সহকারী বন সংরক্ষক মোঃ মারুফ হোসেন, ইউএনও সত্যজিত রায় দাশ, রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ আলা উদ্দিনসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কালেঙ্গা রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ আলা উদ্দিন বলেন, সম্প্রতি সুনামগঞ্জের হাওর এলাকা থেকে বাজপাখি ও শকুনটি উদ্ধার করে সিলেটের টিলাগড় ইকো পার্কেও বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

গত ১৬ জানুয়ারি সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার নুরাল্লাপুর এলাকার রকিব উদ্দিন বাবলুর বাড়ি থেকে অসুস্থ অবস্থায়  শকুনটিকে উদ্ধার করে সিলেট বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্রে হস্তান্তর করা হয়। রাকিব উদ্দিন বাবলু জানান, নুরাল্লাপুর গ্রামের পাশের বনে একটি শকুন পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় কিছু শিশু-কিশোর শকুনটিকে নিয়ে খেলতে শুরু করে খানিকটা আহত করে। পরে স্থানীয় কিছু যুবক শকুনটি তার বাসায় নিয়ে এলে তিনি পাখিটির পরিচর্যা করেন।

Birdsolves নামে একটি ফেসবুক গ্রুপে এক যুবক পাখিটির ছবি প্রকাশ করলে প্রাধিকারের সদস্যরা যোগাযোগ করেন এবং পাখিটিকে উদ্ধারে যায় প্রাধিকার।  সংগঠনটির কোষাধ্যক্ষ তাজুল ইসলাম বলেন, শকুনটি ক্ষুধার্ত ও দুর্বল হয়ে থাকায় উড়তে পারছিল না। প্রাথমিক সেবা ও খাবার দেয়ার পর শকুনটি সিলেটের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্রে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।

বাংলা শকুন, যা ইংরেজি White-rumped Vulture (Gyps bengalensis) নামে পরিচিত। এটি প্রকৃতি সংরক্ষণবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর জোট আইইউসিএনের লাল তালিকায় রয়েছে।

বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশে একসময় অসংখ্য বাংলা শকুন থাকলেও আইইউসিএনের তথ্য অনুসারে এখন দশ হাজারেরও কম বাংলা শকুন রয়েছে এবং প্রতিনিয়ত এর সংখ্যা কমছে।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts