গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: টুঙ্গিপাড়ার জিটি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গর্ব হচ্ছে, এই স্কুলেই লেখাপড়া শুরু করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
বঙ্গবন্ধু ১৯২৭ সালে টুঙ্গিপাড়ার জিটি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হন। ১৯৩০ সালে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেন এ বিদ্যালয়ে।
এই টুঙ্গিপাড়াতেই ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ জাতির পিতার জন্ম। এবছর তাঁর জন্মশত বর্ষ। এ উপলক্ষে দেশব্যাপী বছর ধরে চলবে নানা আয়োজন। ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে তার কর্মকাণ্ড।
তারই অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাল্যকালের বিদ্যাপীঠসহ গোপালগঞ্জের বিভিন্ন স্কুল ও সরকারি দপ্তরের স্থাপন করা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু গ্যালারি ও মুজিব কর্নার।
বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত জিটি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর দুর্লভ ছবির সংগ্রহ নিয়ে স্থাপন করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু গ্যালারি। এ গ্যালারিতে বঙ্গবন্ধুর বংশ পরিচয়, ছোটবেলা, ছাত্রজীবন, পারিবারিক জীবন, রাজনৈতিক জীবন, বিশ্বের নেতাদের সাথে সাক্ষাৎকারসহ বিভিন্ন দুর্লভ ছবি স্থান পেয়েছে। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধ, গণহত্যা, মুক্তিযুদ্ধকালীন বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য সংবাদও এ গ্যালারিতে প্রদর্শন করা হচ্ছে।
‘আমরা বঙ্গবন্ধুকে দেখিনি। তার সম্পর্কে অনেক কিছুই জানি না। যতটুকু জেনেছি মা-বাবা কাছ থেকে শুনে ও বই পড়ে। স্কুলে বঙ্গবন্ধু গ্যালারি করায় এখান থেকে আমরা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে পারছি। তিনি দেশের জন্য, মানুষের জন্য কি করছেন।’ জানালো জিটি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী তাবাচ্ছুম তানিয়া।
জিটি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সিবরুল ইসলাম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে আমরা স্কুলে এ গ্যালারি করেছি। গ্যালারি করার পর আমরা ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। সব বয়সের মানুষ এ গ্যালারি দেখতে আসছেন। এখান থেকে শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধু আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বড় হবে।’
গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, ‘মুজিববর্ষ উপলক্ষে গোপালগঞ্জে বিভিন্ন কর্মসূচী হতে নেয়া হয়েছে। জেলার সকল বিদ্যালয় ও সরকারি অফিসে বঙ্গবন্ধু গ্যালারি ও মুজিব কর্নার স্থাপন করা হবে। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রতিটি মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চাই।’