বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ ক্রিকেটিং কেরিয়ারে ব্যাট হাতে তাঁর মারকুটে স্বভাবের জন্য পরিচিত ছিলেন তিনি। ১৯৯৪ জাতীয় দলের হয়ে ১৩টি ওয়ান-ডে ম্যাচে প্রতিনিধিত্ব করলেও সেভাবে দাগ কাটতে ব্যর্থ হয়েছিলেন।
অতুল বেদাদে খেলা ছাড়ার পরেও ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে ক্রিকেটের সঙ্গে। জাতীয় দলের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে পরবর্তীতে হয়েছিলেন পিচ কিউরেটর। আগে ছিলেন বরোদার পুরুষ ক্রিকেট দলের কোচ। সাম্প্রতিক সময়ে বরোদা মহিলা ক্রিকেট দলের দায়িত্বে ছিল বেদাদের হাতে। যৌন নিগ্রহের অভিযোগে সেই মহিলা দলের দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত করা হল প্রাক্তন ক্রিকেটারকে।
প্রথমসারির এক গ্লোবাল ক্রিকেটিং সাইটের রিপোর্ট অনুযায়ী, বেদাদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ নেই। তবে একজন মহিলা দলের কোচ হিসেবে তাঁর স্বভাব, মন্তব্যের বিরোধী হয়ে উঠেছিলেন দলের ক্রিকেটাররা।
বেদাদের রাগের বহিঃপ্রকাশ, দলের ক্রিকেটারদের বডি শেমিং, মহিলাদের উদ্দেশ্যে এক্তিয়ার বহির্ভূত শব্দপ্রয়োগ। এমনই নানা অভিযোগ ছিল বেদাদেকে ঘিরে। যা দলের মহিলা ক্রিকেটারদের মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত করে তুলছিল। তাই সবদিক বিচার করে প্রাক্তন ক্রিকেটারকে তাদের মহিলা কোচের পদ থেকে সাসপেন্ড করল বিসিএ।
করোনা আতঙ্কে আপাতত বন্ধ বিভিন্ন রাজ্য ক্রিকেট সংস্হার কাজ। সেক্ষেত্রে তদন্ত কমিটি গঠন করে বেদাদের বিরুদ্ধে পরবর্তীতে কী ব্যবস্হা নেওয়া হবে, তা নিশ্চিত নয় এখনও। তাঁর প্রতি অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ ও ‘মিথ্যা’ বলে দাবি করেছেন বেদাদে।