বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে আপনি কি মাস্ক ব্যবহার করছেন ? তবে একেবারেই ভুল করছেন। এতে বাড়তে পারে বিপদ।
করোনার রুখতে সাধারণ মানুষের মাস্ক পরা জরুরি নয়। এমনটাই মত প্রকাশ করছেন চিকিৎসকরা। রাস্তাঘাট থেকে বাড়ি সমস্ত জায়গাতেই এখন সাধারণ মানুষের মুখে দেখা যাচ্ছে মাস্ক। কেউবা আবার করোনা থেকে বাঁচতে মাস্কের পরিবর্তে ব্যবহার করছেন কাপড় কিংবা রুমাল। কিন্তু তা করোনা থেকে বাঁচতে খুব জরুরি নয়।
চিকিৎসকদের মতে, প্রথমে নিজেদের সতর্ক থাকতে হবে। সরকারি লকডাউনের নিয়ম মেনে খুব কম বাড়ির বাইরে বেরোনোর চেষ্টা করতে হবে। বাড়ির প্রয়োজনে বাজারে গেলেও বাজার করতে হবে নির্দিষ্ট দূরত্বে থেকে। ভাইরাস সংক্রমণ থেকে এড়াতে গেলে বাজারে তিন থেকে চার ফুট দূরত্ব বজায় রেখে বাজার করা দরকার।
এছাড়াও প্রতি ঘন্টায় ঘন্টায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। বিশেষ করে বাইরে থেকে এসে, শৌচাগারের পর ও খাওয়ার আগে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া অত্যন্ত জরুরি। কোনও ক্ষেত্রে সাবান না পাওয়া গেলে অ্যালকোহল জেল দিয়েও হাত পরিষ্কার করা যেতে পারে।
শুধু তাই,নয়, হাঁচি-কাশির় ক্ষেত্রে সবসময় নাক মুখ ঢেকে রাখা অত্যন্ত জরুরি। একমাত্র এই হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে ভাইরাস। তাই হাঁচি-কাশির সময় দেড় মিটার দূরত্ব বজায় রাখা দরকার। তবে সাধারণ মানুষ যেভাবে মাস্ক ব্যবহার করছেন তাতে কোনও ভাবেই ভাইরাসের সংক্রমণ এড়ানো সম্ভব নয়।
চিকিৎসকদের মতে, করোনাভাইরাস অত্যন্ত ক্ষুদ্র একটি কণা মাত্র। যা হাটে বাজারে বিক্রি হওয়া এই সকল মাস্ক দিয়ে আটকানো যায় না।
এই বিষয়ে ভারতীয় চিকিৎসক ডাঃ সুব্রত মাইতি জানান, একমাত্র N95 মাস্কে ভাইরাস এড়ানো সম্ভব। কিন্তু তা দশ থেকে পনেরো মিনিটের বেশি কেউ পরতে পারেন না।
তিনি আরও বলেন, এগুলো বেশিরভাগই চিকিৎসকরাই ব্যবহার করেন। সাধারণত ঘন্টায় ঘন্টায় সাবান দিয়ে নিজেদের পরিষ্কার রাখলে করোনা থেকে বাঁচতে পারবেন। সাধারণ হাটে বাজারে বিক্রি হওয়া মাস্ক থেকে কেবলমাত্র ধুলোবালি আটকানো সম্ভব। তাই এই ধরনের মাস্ক’ করোনা রোধে পরা জরুরি নয়।”
ভারতীয় আরেক চিকিৎসক ডাঃ অসীম প্রধান বলেন, সাধারণ হাটে বাজারের মাস্কে কেবল ধুলোবালি আটকায় এছাড়াও ব্যাকটেরিয়াকে প্রতিহত করা।