ইফতেখার শাহীন: বরগুনায় সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে শনিবার হাটের দিন হাজার হাজার মানুষ ঈদের বাজারের মত দেদারছে চালিয়ে যাচ্ছেন বেচাকেনা । অন্যান্য দিনের চেয়ে শনিবার দেখা গেছে উপচে পড়া মানুষের ভিড় । নির্দিষ্ট দুরত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি শারিরীক নিরাপত্তার জন্য সরকারি নির্দেশনা থাকা সত্বেও মানছেন না তারা এসব নিয়ম কানুন।
বরগুনা শহরের বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে গণজমায়েত। শহরের প্রাণ কেন্দ্র ক্রক স্লুইজ, মাছ বাজার, বাকালি পট্টি, মাছ বাজার সংলগ্ন ব্রিজ, পান পট্টিতে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ নির্দিষ্ট দুরত্ব বজায় না রেখেই এক একজনের ওপর হুমড়ি খেয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কেনা বেচা। সরকারী নির্দেশনায় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দোকান খোলা রাখার কথা থাকলেও দেখা যায়, সরকারি নিয়ম ভঙ্গ করে সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ীদের চলছে রমরমা বানিজ্য।
এজন্য জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি পুলিশ, নৌবাহিনী, র্যাব এর সদস্যরা ব্যাপক তৎপরতা চালালেও মানাতে পারছেন না সাধারণ মানুষকে সরকারি নির্দেশনাগুলো। নভেল করোনা ভাইরাসের হিংস্র থাবায় যখন বিশ্ব থমকে দাঁড়িয়ে, ঠিক এমনি সময় কর্মহীন মানুষের মাঝে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে চাল, ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি বিতরণ করলেও সঠিক উদ্দেশ্য সফল হচ্ছেনা বলে জানান বরগুনার সচেতন মহল।
এ ব্যাপারে বরগুনার জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে একাধীক মোবাইল কোর্ট মাঠে কাজ করছে। নৌবাহিনী, পুলিশের মাধ্যমে আমরা সোশ্যাল ডিষ্টেন্স রক্ষা করার চেষ্টা করছি। অনেকেই শুনছে কিন্তু মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ এ নির্দেশনা মানছেনা। এজন্য জরিমানা ও শাস্তির বিধান করা হয়েছে, আশা করি সামাজিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পারবো।