২০ লক্ষ কোটির প্যাকেজ ঘোষণা মোদীর, ১৮ মে থেকে লকডাউন

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ দেশ জুড়ে চলছে করোনা পরিস্থিতি, যা ক্রমাগত কঠিন হচ্ছে। আর এই অবস্থায় ভারতের আত্মনির্ভরতার কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে দেশের জন্য বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করলেন তিনি।

দেশের সব মানুষই এই প্যাকেজের আওতায় থাকবেন। বুধবার থেকে অর্থমন্ত্রী ‘আত্মনির্ভর ভাফরত অভিযান’-এর এই প্যাকেজের ব্যাখ্যা করবেন বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী। মোট ২০ লক্ষ কোটির প্যাকেজ ঘোষণা করলেন তিনি, যা ভারতের জিডিপি-র প্রায় ১০ শতাংশ বলে জানিয়েছেন তিনি।

কুটির উদ্যোগ, গ্রামোদ্যোগ, কৃষি ক্ষেত্র, মধ্যবিত্ত সবার জন্যই কাজ করবে এই প্যাকেজ। মোদী বলেন, এতে ভারতের সব সেক্টরের গতি বাড়বে ও কাজের মানও উন্নত হবে।

ঠেলাওয়ালা কিংবা শ্রমিকের কষ্টের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এরা অনেক তপস্যা করেছে। অনেক কষ্ট করেছে। আজ ওদের আর্থিক উন্নতির জন্য আমাদের বড় কোনও পদক্ষেপ নিতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘স্থানীয় দোকান কিংবা ম্যানুফ্যাকচারারের গুরুত্ব আমরা সংকটের সময় বুঝেছি। সময় আমাদের শিখিয়েছে, লোকাল বা স্থানীয় এই সব ক্ষেত্রই আমাদের জীবনের মন্ত্র হয়ে উঠবে। গ্লোবাল ব্র্যান্ডগুলোও একসময় লোকাল ছিল। তারপর তাদের প্রচার হওয়াতেই তারা বিশ্বে জায়গা করে নিয়েছে।’ তাই প্রধানমন্ত্রীর আর্জি স্থানীয় ব্র্যান্ডের জিনিসপত্র কেনার পাশাপাশি, তার প্রচারও করতে হবে।

তিনি বলেন, ‘আমি এভাবেই আপনাদের খাদির জিনিস কিনতে বলেছিলা। খুব ছোট প্রয়াস ছিল। কিন্তু সবাই গুরুত্ব দিয়েছিলেন।’ তিনি মনে করিয়ে দেন, অনেক তাবড় বিজ্ঞানীই বলছেন যে করোনার প্রভাব দীর্ঘদিন চলবে।

১৮ মে থেকে নতুন পর্যায়ের লকডাউন চালু হবে। থাকবে নতুন নিয়ম। জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে স্পষ্ট জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ১৭ মে শেষ হচ্ছে তৃতীয় দফার লকডাউন। তারপর দেশ জুড়ে কী নিয়ম জারি হতে পারে, তা শীঘ্রই জানানো হবে বলে জানালেন মোদী।

নতুন পর্যায়ের লকডাউন যে হবে, সেই ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সোমবারই সেই বিষয় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি। আর মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘১৮ মে-র আগেই নতুন লকডাউনের নিয়ম জানিয়ে দেওয়া হবে।’

চতুর্থ দফায় লকডাউন শুরু হলে সেখানে আরও শিথিলতা বাড়বে। সোমবার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানান তৃতীয় দফায় যে পরিমাণ শিথিলতা রাখা হয়েছিল, চতুর্থ দফায় তার প্রয়োজন হবে না।

Print Friendly

Related Posts