বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ পরকীয়ায় মজেছে স্বামী। পথের কাঁটা স্ত্রী। সেই কাঁটা উপরে ফেলতে অভিনব পথ নিয়েছিল স্বামী। প্রথমবারের চেষ্টায় বিফল হলেও হাল ছাড়েনি সে। দ্বিতীয়বারে খুন করেও ফেলল স্ত্রীকে। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। পুলিশের হাতে ধরা পড়ে জেলের ঘানি টানতে হচ্ছে সেই কীর্তিমান স্বামীকে।
ভারতে কেরল রাজ্যের কোলাম এলাকায় খুনের কায়দা দেখে রীতিমো ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গিয়েছেন পুলিশ কর্তারাও।
কোলাম এলাকার বাসিন্দা সূরযের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল উত্তরার। বেসরকারি ব্যাংকের কর্মী সূরযের সঙ্গে সুখী দাম্পত্যই চলছিল তার। এর মাঝেই সূরযের মনে জায়গা করে নেয় আরেক জন। সেই মহিলার সঙ্গে পরকীয়াও জড়িয়ে পড়ে সূরয। তাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতিও দেয় সূরয। কিন্তু প্রেমের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় উত্তরা। আর তখনই তাকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করতে থাকে সূরয।
গত মার্চ মাসে বাড়ির মধ্যে স্ত্রী উত্তরাকে সাপে কাটে। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সে যাত্রায় বেঁচে যান উত্তরা। কিন্তু দিন কয়েক আগে ঘুমের মধ্যে সাপের কামড়ে তার মৃত্যু হয়। স্বামী সূরয সাপে কাটায় মৃত্যু বলে চালিয়ে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু বেঁকে বসে পরিবারের লোকজন। পরপর দুবার কেন উত্তরাকে সাপে কাটল, তখন সূরযই বা কোথায় ছিল, তা জানতে পুলিশের দ্বারস্থ হন পরিজনেরা। পুলিশ তদন্তে নামতেই কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে পড়ে। তদন্তে উঠে আসে আসল সত্য।
পুলিশের কথায়, উত্তরাকে খুন করে তার টাকা-পয়সা ও গয়না নিয়ে প্রেমিকার সঙ্গে ঘর বাঁধতে চেয়েছিল সূরয। তাই এক সাপুড়ের কাছ থেকে গোখরো নিয়ে এসেছিল বাড়িতে। মার্চ মাসেই সেই সাপ উত্তরাকে কাটে। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ায় বেঁচে যায় সে। এবার আর সেই ভুল করতে রাজি ছিল না সূরয। রাতে উত্তরা গভীর ঘুমে ছিল ঠিক তখনই তার গায়ে গোখরোটাকে ছেড়ে দেয়। একবার নয়, পরপর দুবার তাকে ছোবল মারে সাপটি। আর পাশে বসে সেই দৃশ্য দেখছিল সূরয। উত্তরার মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর সাপটিকে ব্যাগে ভরে রাখতে গিয়ে বিপত্তি বাধে। হাত ফসকে পালিয়ে যায় সাপটি। পরে বাড়ি থেকেই পুলিশ গোখরোটিকে উদ্ধার করে। এদিকে পরের দিন উত্তরাকে সূরয হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করে। কিন্তু এত চেষ্টার পরও শেষরক্ষা হল না। সাপুড়ে সমেত সূরযকে জেলে ভরেছে কেরল পুলিশ।