জ,ই বুলবুল: মানুষ মানুষের জন্য। ব্লাড ক্যন্সারে আক্রান্ত মেধাবী ছাত্র আশিকের (২২) পাশে দাঁড়াতে ছুটে আসেন তার এলাকাবাসীসহ ঢাকাস্থ জিনোদপুর ইউনিয়ন কল্যাণ সমিতি।
জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার নবীনগরের জিনোদপুর ইউনিয়নের কড়ুইরাঁড়ি গ্রামের কৃষক আনিসুর রহমানের একমাত্র ছেলে আশিকুর রহমান আশিক লাউর ফতেহপুর ব্যারিস্টার জাকির আহমেদ কলেজে থেকে এবার এসএইচএসসি পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিলো। নির্মম সত্য এই যে, এখন সে জীবন মুত্যুর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে জাতীয় ক্যন্সার গবেষণা ইন্সটিটিউট হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আশিক এখন চিফ মেডিকেল অফিসার ডা.কামরুল হাসানের রেফার হয়ে বর্তমানে হেমাটলজির তত্ত্বাবধানে ৩ নং ওয়ার্ডের ১৩ নং বেডে আছে।
তার অসহায় কৃষক বাবা আনিসুর রহমান ছেলেকে বাঁচানোর আকুতি জানিয়েছেন সমাজের বিত্তবানদের কাছে।
এ প্রসঙ্গে তাকে দেখতে ছুটে আসা ঢাকাস্থ জিনোদপুর ইউনিয়ন কল্যাণ সমিতির সভাপতি জি,এম শুকরিয়া বলেন, আমাদের সংগঠন শুরু থাকেই তার পাশে দাঁড়াতে সংগঠনের সহ-সভাপতি সাংবাদিক জ.ই বুলবুল তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা সহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। সংগঠনও সাধ্যমত আর্থিক সাপোর্ট দিয়েছে। এ ছাড়াও এলাকার ও প্রবাসী কল্যাণ সংস্থাও এগিয়ে আসছে, তবে এ ব্যয়বহুল চিকিৎসা খরচ কারোর পক্ষেই একা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়, এজন্য দেশবাসী সকলের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন।
এসময় সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন। তার মধ্যে সাধারণ সম্পাদক মো. শরীফ সরকার, সহ-সভাপতি মো.বাবুল, সহ-সভাপতি মোশাররফ হোসেন, যুগ্ন- সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ মুদুলসহ এলাকার গণ্যমান্য রাজনৈতিক দলের নেতারা দেখতে আসেন।
মেধাবী ছাত্র আশিক জানায়, আমি বাঁচতে চাই, আপনার সবাই যদি একটু করেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তাহলেই আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে দিতে পারেন, আমি আবার আমার প্রাণের ক্যম্পাসে ফিরে যেতে চাই। অসহায় কৃষক বাবা-মায়ের মুখে হাসি ফুটাতে চাই। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
তার বাবাও কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, বাবারা তোমরা আমার বুকের ধনকে বাঁচাও।
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা। তার বাবার বিকাশ নং ০১৭৪৩-০১৩৩৭৭