নিজস্ব প্রতিবেদক: ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ৫০০ শতাংশ ক্যাশ ভাউচার পেয়েছেন আরও তিন ক্রেতা। তারা হলেন রাজধানীর খিলগাঁওয়ের আকরাম উদ্দীন সিদ্দিকী, মগবাজারের ফয়সাল কবির এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কবির আহমেদ। ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-৮ এর আওতায় ওই সুবিধা পেলেন তারা। ওয়ালটনের একটি ফ্রিজ কিনে এর পাঁচগুণ করে ফেরত পেয়ে মহাখুশি ওই তিন ক্রেতা।
উল্লেখ্য, অনলাইন অটোমেশনের আওতায় আরো দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারা দেশে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে ওয়ালটন। এর আওতায় ওয়ালটন ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন ও মাইক্রোওয়েভ ওভেন কিনে ক্রেতারা পেতে পারেন ৫০০ শতাংশ পর্যন্ত ক্যাশ ভাউচার। আছে ফ্রিজ, টেলিভিশন, এয়ার কন্ডিশনারসহ অসংখ্য ফ্রি পণ্য পাওয়ার সুযোগ। এছাড়াও রয়েছে কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার।
ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতিতে ক্রেতার নাম, মোবাইল নম্বর এবং বিক্রি করা পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ফলে, ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে গেলেও দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত সেবা মিলছে। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের আওতায় নানা সুবিধা দেয়া হচ্ছে।
গত ১৯ নভেম্বর, ২০২০ (বৃহস্পতিবার) খিলগাঁও ওয়ালটন প্লাজায় আনুষ্ঠানিকভাবে আকরাম উদ্দীন সিদ্দিকীর হাতে ক্যাশ ভাউচার তুলে দেয়া হয়। একই দিনে বাংলামোটর ওয়ালটন প্লাজায় ফয়সাল কবিরের হাতেও ক্যাশ ভাউচার তুলে দেয় ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ। পৃথকভাবে আয়োজিত এসব অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খিলগাঁও থানা পুলিশ পরিদর্শক নুরুল ইসলাম সুমন, ওয়ালটনের ডেপুটি অপারেটিভ ডিরেক্টর মীর মোহাম্মদ গোলাম ফারুক এবং পল্টন জোনের এরিয়া ম্যানেজার মনোয়ার হোসাইন প্রমুখ।
এর আগে, ১৮ নভেম্বর, ২০২০ (বুধবার) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের বুধল বাজারে ওয়ালটনের শোরুম ‘মেসার্স আমিন ইলেকট্রনিক্স’-এ ক্রেতা কবির আহমেদের হাতে ৫০০% ক্যাশ ভাউচার হস্তান্তর করা হয়। তার হাতে ভাউচার তুলে দেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফিরুজুর রহমান।
জানা গেছে, গত ২ নভেম্বর খিলগাঁও ওয়ালটন প্লাজা থেকে ৬৪ হাজার ৩০৮ টাকা দিয়ে একটি ফ্রিজ কিনে ৫০০ শতাংশ ক্যাশ ভাউচার পান মালিবাগ চৌধুরী পাড়ার বাসিন্দা আকরাম। একই দিনে বাংলামোটর ওয়ালটন প্লাজা থেকে ২৮ হাজার ৯০০ টাকা দিয়ে একটি ফ্রিজ কিনে ৫০০ শতাংশ ক্যাশ ভাউচার পান মগবাজারের বাটার গলির বাসিন্দা ফয়সাল।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সেলস ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত আকরাম। তিনি জানান, উপহার দেয়ার জন্য ফ্রিজটি কিনেছিলেন। ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সম্পর্কে সংবাদপত্রের মাধ্যমে আগে থেকেই জানতেন। কিন্তু তিনিই যে এতবড় সুবিধা পাবেন, সেটা আশা করেননি আকরাম। ক্যাশ ভাউচারের বিপরীতে ওয়ালটন থেকে আরো একটি ফ্রিজ, এসি, টিভি ও মোবাইল ফোন নিয়েছেন। এসব পণ্য আত্মীয়দের উপহার দেবেন তিনি।
অন্যদিকে সরকারি কর্মকর্তা ফয়সাল সম্প্রতি বিয়ে করেছেন। নতুন সংসারের জন্য ফ্রিজটি কিনেছিলেন। এরপর ৫০০% ক্যাশ ভাউচার পেয়ে আরো একটি ফ্রিজ, ল্যাপটপ, টিভি, রাইস কুকার ও আয়রন সহ বেশ কিছু পণ্য কিনেছেন।
এদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মধ্যপাড়ার মালিহাতা গ্রামের কবির আহমেদ গত ১০ অক্টোবর ২৬ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে একটি ওয়ালটন ফ্রিজ কেনেন। এরপর ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করলে তার মোবাইলে ৫০০% ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার মেসেজ যায়। ওই টাকায় তিনি আরো ২টি ফ্রিজ, ১০টি সিলিং ফ্যান ও ১টি করে এসি, টেবিল ফ্যান, বেøন্ডার এবং আয়রন কিনেছেন।
কর্তৃপক্ষ জানায়, আন্তর্জাতিক মান যাচাইকারী সংস্থা নাসদাত ইউনিভার্সাল টেস্টিং ল্যাব থেকে মান নিশ্চিত হয়ে ওয়ালটনের প্রতিটি ফ্রিজ বাজারে ছাড়া হচ্ছে। ওয়ালটন ফ্রিজের রয়েছে বিএসটিআইয়ের ফাইভ স্টার এনার্জি এফিশিয়েন্সি রেটিং। ফ্রিজ উৎপাদন ও রপ্তানিতে ওয়ালটন অর্জন করেছে আইএসও, ওএইচএসএএস, ইএমসি, সিবি, আরওএইচএস, এসএএসও, ইএসএমএ, ইসিএইচএ, জি-মার্ক, ই-মার্ক ইত্যাদি সার্টিফিকেট।
বর্তমানে বাজারে রয়েছে শতাধিক মডেলের ওয়ালটন ফ্রস্ট, নন-ফ্রস্ট, ডিপ ফ্রিজ ও বেভারেজ কুলার। দাম মাত্র ১০,৯৯০ টাকা থেকে ৮০,৯০০ টাকার মধ্যে। ফ্রিজে এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট সুবিধার পাশাপাশি কম্প্রেসরে ১২ বছরের গ্যারান্টি দিচ্ছে ওয়ালটন। নগদ মূল্যের পাশাপাশি ইএমআই এবং কিস্তি সুবিধায় ওয়ালটন পণ্য কেনার সুযোগ আছে।
#
ছবি: ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে পাওয়া ৫০০% ক্যাশ ভাউচার গ্রহণ করছেন খিলগাঁওয়ের আকরাম উদ্দীন সিদ্দিকী।